অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরে টেবিল টেনিস থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। মেয়ে অদিত্রী হওয়ার পরেও দু’বছর খেলার বাইরে ছিলেন মৌমা। তাই অনুশীলনে ফিরে সমস্যা হচ্ছে তাঁর। কিন্তু এখানেই থেমে থাকতে রাজি নন মৌমা। দেশের হয়ে টেবিল টেনিসে আরও পদক জিততে চাইছেন। তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।
জাতীয় প্রতিযোগিতার অভি়জ্ঞতা ভাগ করলেন মৌমা ফাইল চিত্র
সাড়ে তিন বছর পরে প্রথম বার খেলতে নেমে পা কাঁপছিল টেবিল টেনিসে পাঁচ বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মৌমা দাসের। সংস়ার, মেয়েকে সামলে ফের অনুশীলন করতে নেমে কোথায় তিনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন তা পরীক্ষা করতেই জাতীয় প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন বলে জানালেন পদ্মশ্রী মৌমা।
কেমন হল জাতীয় প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞতা, তা জানাতে গিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনকে মৌমা বললেন, ‘‘হার-জিত নয়, কোথায় দাঁড়িয়ে আছি সেটা দেখার জন্যই নেমেছিলাম। এখনও পুরো তৈরি নই। সময় লাগবে। যেহেতু অনেক দিন খেলার বাইরে তাই গ্রুপ পর্ব থেকে শুরু করতে হয়েছিল। ধাপে ধাপে ফাইনালে উঠেছি। এতটা যাব আশা করিনি।’’
জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় নামার আগে যে অনুশীলন দরকার তা করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন বাংলার এই টেবিল টেনিস তারকা। তিনি বললেন, ‘‘মাত্র ১০ থেকে ১২ দিন অনুশীলন করেছি। এখনও ওজন বেশি। বড় র্যালি খেললে হাঁফ ধরে যাচ্ছে। বেশির ভাগ ম্যাচ লম্বা হচ্ছিল। শেষ দিকে দম থাকছিল না। তাও ফাইনালে উঠেছি। পুরো তৈরি না থাকায় ঝুঁকি নিইনি। কারণ সে ক্ষেত্রে চোট পাওয়ার আশঙ্কা থাকত। এখনও দু-তিন মাস অনুশীলন করতে হবে। তবেই কোথাও পৌঁছতে পারব।’’
এত দিন পরে খেলতে নেমে টেবিল টেনিসের উঠতি খেলোয়াড়দের মুখোমুখি হতে হয়েছে মৌমাকে। প্রতিপক্ষের দরাজ প্রশংসা করলেন তিনি। বললেন, ‘‘শ্রীজা, দিয়ারা সত্যিই খুব ভাল খেলোয়াড়। ওদের বিরুদ্ধে খেলা অতটা সহজ নয়। অনেকেই ভেবেছিলেন গ্রুপ পর্বে হেরে যাব। কিন্তু ধাপে ধাপে উঠেছি। তবে আগামী দিনে ওদের বিরুদ্ধে খেলতে গেলে আরও অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আবার অনুশীলন শুরু করব। অগস্ট মাসে হয়তো আবার প্রতিযোগিতায় নামব।’’
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরে টেবিল টেনিস থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। মেয়ে অদিত্রী হওয়ার পরেও দু’বছর খেলার বাইরে ছিলেন মৌমা। তাই অনুশীলনে ফিরে সমস্যা হচ্ছে তাঁর। কিন্তু এখানেই থেমে থাকতে রাজি নন মৌমা। দেশের হয়ে টেবিল টেনিসে আরও পদক জিততে চাইছেন। তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। শূন্য থেকে শুরু করে নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে চান তিনি।