ডার্বির পর মোহনবাগান টিডি সুভাষ ভৌমিককে কর্তাদের দেওয়া পাঁচ-ম্যাচ লাইফ লাইনের সূচনা আজ বুধবার। যার প্রথম ধাপে কলকাতা লিগে সুভাষের প্রতিপক্ষ সাই (পূর্বাঞ্চল)। তবে সেই রাস্তায় ফুলের বদলে কাঁটাই বেশি ছড়ানো। কারণ আইএসএল-এর জন্য বেশ কিছু ফুটবলারকে পাবেন না বাগান টিডি। কিংশুক মাদ্রিদ চলে গিয়েছেন ইতিমধ্যেই। বুধবার দলের সঙ্গে যোগ দিতে শহর ছাড়ছেন রাম মালিক। ধীরে ধীরে যাবেন শিল্টন, সৌভিক চক্রবর্তী-সহ বাকি ফুটবলাররাও।
রবিবার ইস্টবেঙ্গলের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর সোমবার অনুশীলন করেনি মোহনবাগান। ডার্বির পর মঙ্গলবারই ফের মাঠে নামলেন শিল্টনরা। তবে অনুশীলনের আগে ক্লাব তাঁবুতে ফুটবলারদের নিয়ে পাক্কা তিরিশ মিনিট ডার্বির পোস্টমর্টেম করেন সবুজ-মেরুন টিডি সুভাষ ভৌমিক। ডার্বিতে খেলা ধনচন্দ্রদের বোঝান, ডার্বি অতীত। লিগ এখনও দূরে সরে যায়নি। বাকি পাঁচ ম্যাচের সব কটাতেই জিততে হবে মোহনবাগানকে।
এ দিকে, সাইয়ের বিরুদ্ধে রক্ষণ এবং স্ট্র্যাটেজিতে বড়সড় পরিবর্তন আনতে চলেছে মোহনবাগান। এ দিন দলের অনুশীলনে তারই ইঙ্গিত মিলল। প্রথম দলে ঢুকছেন পিয়ের বোয়া। যার অর্থ, শুরুতে দলে নেই ডার্বিতে খেলা নাইজিরিয়ান স্টপার আদিসা ফাতাই। ম্যাচ সাসপেনশন কাটিয়ে ফিরছেন লেফট ব্যাক সৌভিক ঘোষ। ফলে ফের স্টপারে ধনচন্দ্র। সেন্ট্রাল ডিফেন্সে তাঁর সঙ্গী জনি রাউথ। রাইট ব্যাকে সতীশের জায়গায় আসছেন সুখেন। মাঝমাঠেও শেহনাজের বদলে সৌভিক চক্রবর্তীকে দেখা যাবে সাইয়ের বিরুদ্ধে। গোলে শিল্টন এবং আক্রমণে কাতসুমি, সাবিথ ও বলবন্তদের দিকেই তাকিয়ে সুভাষ। এ দিন যদিও তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে না এসে পাঠিয়ে দেন কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীকে। তাঁবু ছাড়ার সময় বলে যান, “যখন সবাই পালায় সে দিন কিন্তু না পালিয়ে সাং্বাদিক সম্মেলন করেছি। আজ শঙ্করকে পাঠালাম।”
মোহন কোচ শঙ্করলাল বলে যান,“চোটের জন্য বুধবার খেলবেন না জেজে। লিগ এখন ওপেন। ভুলত্রুটি শুধরে চ্যাম্পিয়ন হওয়াই লক্ষ্য মোহনবাগানের।”
বুধবারে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ
মোহনবাগান: সাই (যুবভারতী, ৪-০০)।