অশোক ডিন্ডার দাপটে ক্রিকেট ডার্বি জেতার আশা আরও উজ্জ্বল করল মোহনবাগান।
সিএবি সুপার লিগের ডার্বিতে দ্বিতীয় দিনে বলেও দাপট দেখাল মোহনবাগান। প্রথমে ব্যাট করে ৩৩২ রানে ডিক্লেয়ার দেয় সবুজ-মেরুন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ধসে পড়ল ইস্টবেঙ্গলের ইনিংস। এক সময় ১১৫-৩ ছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু আর মাত্র ৪৪ রানের মধ্যে ১৫৯ অলআউট হয় লাল-হলুদ। ৩১ রান দিয়ে চার উইকেট তুললেন ডিন্ডা। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিবেক সিংহ, শমীক কর্মকার, সোহম ঘোষ, বি অমিতের মতো ব্যাটসম্যান। ইস্টবেঙ্গলের সর্বোচ্চ স্কোরার শমীক (৪১)। ডিন্ডার আগুনে স্পেল ছাড়াও রবিবারের ইডেন সাক্ষী থাকল ঋদ্ধিমানের দুর্দান্ত কিপিংয়েরও। তিনটে ক্যাচ নিলেন ঋদ্ধিমান।
প্রথম ইনিংসের শেষে মোহনবাগান ১৭৩ রানের লিড নেয়। কিন্তু ফলো অন না নিয়ে আবার ব্যাট করতে নামে মোহনবাগান। দ্বিতীয় দিনের শেষে মোহনবাগান ৯৪-২। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ও জয়জিতের উইকেট হারিয়েছে মোহনবাগান।
ইস্টবেঙ্গলকে ফলো অন করালেন না কেন? মোহনবাগান বোলারদের ক্লান্তির জন্যই এই সিদ্ধান্ত সেটাই দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে জানালেন সবুজ-মেরুনের অধিনায়ক শুভময় দাস। ‘‘বোলাররা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। এই জন্য ইস্টবেঙ্গলকে ফলো অন করালাম না,’’ বলছেন শুভময়। পরিস্থিতি যা তাতে ম্যাচ জিতলেই সুপার কাপের ফাইনালে উঠতে পারবে মোহনবাগান। ‘‘ যত বেশি রান তুলতে পারব তত বেশি সুবিধা। এখনও দুটো দিন হাতে আছে.’’ বলছেন শুভময়। সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে স্লো ওভার রেটের অভিযোগ তুললেন শুভময়। আঙুল ভাঙার জন্য আবার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে পারবেন না অনুষ্টুপ মজুমদার, সেটাও জানালেন মোহনবাগান অধিনায়ক। সুপার লিগের অন্য গ্রুপে এখনও টানটান উত্তেজনা বজায় আছে। বরিশা ১৪৯ রানে অলআউট হওয়ার পরে ভবানীপুর ৪৭০-৪ তুলে ডিক্লেয়ার দিল। অভিষেক রমন ২২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।