মুখ্যমন্ত্রীর টেবলে পৌঁছল মোহনবাগানের নির্বাচনও

পুরভোটের ঝামেলা, রানাঘাট কান্ড-সহ নানা সমস্যার মধ্যে হঠাত্‌-ই আবার মোহনবাগানের নির্বাচনী ঝামেলা হাজির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে। তাঁর দলেরই মন্ত্রী-সাংসদ-মেয়র পরিষদরা একে অন্যের বিরুদ্ধে যুযুধান হয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন বলেই হস্তক্ষেপ করতে হতে পারে তাঁকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৫ ০৩:০৭
Share:

পুরভোটের ঝামেলা, রানাঘাট কান্ড-সহ নানা সমস্যার মধ্যে হঠাত্‌-ই আবার মোহনবাগানের নির্বাচনী ঝামেলা হাজির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে। তাঁর দলেরই মন্ত্রী-সাংসদ-মেয়র পরিষদরা একে অন্যের বিরুদ্ধে যুযুধান হয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন বলেই হস্তক্ষেপ করতে হতে পারে তাঁকে।

Advertisement

মোহনবাগান ‘বাঁচাতে’ সোমবার বিকেল তিনটে নাগাদ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বাগানের শাসকগোষ্ঠীর বিরোধী প্রধান মুখ সুব্রত ভট্টাচার্য। তাঁকে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন মমতার দলের সাংসদ বাগানের আর এক ঘরের ছেলে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সুব্রত এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শুধু বলেছেন, “ক্রীড়া উন্নয়ন ও মোহনবাগান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কিছু কথা হয়েছে।” তবে সুব্রতর সঙ্গী প্রসূন দাবি করেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের একটা বৈঠক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আলোচনার সময় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে ফোন করে বলেছেন যাতে মোহনবাগান নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সব সমস্যার মিটিয়ে নিতে।” সাংসদ ফুটবলার দাবি করেন, “আমাদের দাবি কার্যকর কমিটিতে অন্তত দশজন ফুটবলার রাখতে হবে। আর ওই চারজনকে সরতে হবে। অরূপ যদি প্রেসিডেন্ট হয় তাতেও আমাদের কোনও আপত্তি নেই।” ওই চারজন হলেন প্রেসিডেন্ট টুটু বসু, সচিব অঞ্জন মিত্র, সহ সচিব সৃঞ্জয় বসু এবং অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত। ক্লাবের নির্বাচনের মুখে প্রসূন-সুব্রতরা এঁদের সরাতেই একজোট হয়েছেন।

প্রসূনরা দাবি করলেও মন্ত্রী এবং বাগানের শাসকগোষ্ঠীর ঘনিষ্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট অরূপবাবু মুখ্যমন্ত্রীর ফোনের কথা মানতে চাননি। তাঁর দাবি, “আমি শুনেছি দুপুরে সুব্রত ভট্টাচার্য গিয়েছিলেন দেখা করতে। আমি তো তখন মোহনবাগান মাঠেই ছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে কোনও ফোন করেননি।” দাবি বা পাল্টা দাবি নিয়ে হঠাত্‌-ই সরগরম ময়দান। তারই মধ্যে রাজ্যের আর এক মন্ত্রী এবং সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত মুখোপাধ্যায় আবার বলে দিয়েছেন, “সবাই চাইলে আমি মোহনবাগানের প্রেসিডেন্ট হতে রাজি। সবাই মিলে ক্লাবটাকে বাঁচাতে হবে।” সব মিলিয়ে বাগানের আসন্ন নির্বাচন ঘিরে বাগান আবার সরগরম।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement