আইনজীবী নিয়ে ফেডারেশনের সভায় মোহনবাগান

শনিবার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সভায় কেন তাদের শাস্তি হবে না, তা জানার জন্য সুপার কাপ বয়কট করা চারটি ক্লাবকে ডেকেছিলেন কমিটির সদস্যরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৪০
Share:

সুপার কাপ বয়কট করা আই লিগের জোটের ক্লাবগুলিকে শাস্তি দিলে তারা যে আদালতে যাবে, তার ইঙ্গিত দিয়ে রাখল মোহনবাগান এবং মিনার্ভা পঞ্জাব এফসি। সেই রাস্তা খোলা রাখতেই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সভায় আইনজীবী সঙ্গে নিয়ে হাজির হয়েছিল দুই ক্লাবই।

Advertisement

শনিবার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সভায় কেন তাদের শাস্তি হবে না, তা জানার জন্য সুপার কাপ বয়কট করা চারটি ক্লাবকে ডেকেছিলেন কমিটির সদস্যরা। কিন্তু দিল্লির ফুটবল হাউসে হাজির ছিল কলকাতা এবং পঞ্জাবের দুটি দলই। নেরোকার কোনও প্রতিনিধি আসেননি। তারা জানিয়ে দেয়, সুপার কাপ বয়কট করার কারণ হিসাবে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল তার বাইরে কোনও বক্তব্য নেই। আর আইজল এফসির কর্তারা অনুরোধ করেছিলেন, স্কাইপেতে তাঁরা কথা বলবেন। সেই মতোই তাঁরা কথা বলেন ঊষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সঙ্গে। কিন্তু মোহনবাগান এবং মিনার্ভা পঞ্জাব সভায় উপস্থিত হয় আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে। মোহনবাগানের দুই প্রতিনিধির সঙ্গে ছিলেন দুই আইনজীবী। আর মিনার্ভার প্রতিনিধিও নিয়ে যান এক আইনজীবীকে।

প্রায় চার ঘণ্টা সভার মধ্যে মোহনবাগানই প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে সওয়াল করে। সভার পরে কেউই মুখ খোলেননি। তবে জানা গিয়েছে, নানা আইনকানুন দেখিয়ে মোহনবাগানের চার প্রতিনিধি দাবি করেন, কোথাও তাঁরা বলেননি ‘খেলবেন না’। ক্লাবের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার স্বার্থে কিছু দাবি করেছিলেন মাত্র। সেটা মানলেই খেলত দল। সবুজ মেরুন কর্তারা জানিয়ে দেন, ফুটবলারদের কোনও তালিকাও নথিভুক্ত করেননি তাঁরা। তাই কেন শাস্তির আওতায় পড়বে মোহনবাগান? আর মিনার্ভার পক্ষের আইনজীবীরা জানিয়ে দেন, সুপার কাপ খেলবেন বলেই দল নিয়ে ভুবনেশ্বরে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফেডারেশন তাদের দাবি না মানায় দল নামানো হয়নি। দোষ ফেডারেশনেরই!

Advertisement

আজ, রবিবার ডাকা হয়েছে প্রতিযোগিতা বয়কট করা আরও তিনটি দল ইস্টবেঙ্গল, চার্চিল ব্রাদার্স এবং গোকুলমকে। তবে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে হাজির থাকার কথা দুটি দলের। একটি ক্লাবের। অন্যটি বিনিয়োগকারীদের। শোনা যাচ্ছে বয়কটের পক্ষে থাকা বিনিয়োগকরীরাও আইনজীবী নিয়ে সভায় যাবেন। লাল-হলুদ কর্তারা অবশ্য জানাতে চান, বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে তাঁরা সহমত নন। সুপার কাপ খেলার পক্ষেই ছিলেন তাঁরা। কিন্তু কবে জানা যাবে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত? তা জানাতে চাননি কমিটির চেয়ারম্যান। দিল্লি থেকে ফোনে তিনি বলে দেন, ‘‘সেটা এখন বলা যাবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement