—নিজস্ব চিত্র।
ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠল মহমেডান স্পোর্টিং। ৪-২ গোলে বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডকে হারিয়ে দিল তারা। সোমবার যুবভারতীতে প্রায় ২৫ হাজার দর্শক খেলা দেখতে এসেছিলেন। কোভিড পরবর্তী সময় প্রথম বার কলকাতায় এত দর্শক খেলা দেখতে এলেন। শুধু মহমেডান সমর্থকরা নন, এসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সমর্থকরাও।
ম্যাচের শুরুতেই পেড্রো মানজির গোলে পিছিয়ে পড়ে মহমেডান। ১৯ সেকেন্ডে পেড্রোর শট বারে লেগে গোলে ঢুকে যায়। তবে বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি বেঙ্গালুরুর দলটি। ৬ মিনিটে একক দক্ষতায় গোল করে সমতা ফেরান মার্কোস জোসেফ।
প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় মহমেডান। ৩৮ মিনিটে সাদা-কালো শিবিরকে এগিয়ে দেন ফয়জল আলি। দ্বিতীয়ার্ধে গোল সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে মহমেডান। ৭৮ মিনিটে বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের হয়ে সমতা ফেরান কিংশুক দেবনাথ। সঞ্জু প্রধানের কর্নার থেকে গোল করেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের সংযুক্তি সময়ে হাতে বল লাগিয়ে লাল কার্ড দেখেন পেড্রো। প্রথম ৯০ মিনিট ম্যাচ অমীমাংসিত থাকায় ম্যাচ গড়ায় এক্সট্রা টাইমে। ১০২ মিনিটে মহমেডানকে এগিয়ে দেন ব্র্যান্ডন ভানলালরেমডিকা। ১১০ মিনিটে বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন নিকোলা স্টোজানোভিক। পেনাল্টি থেকে গোল করেন তিনি।
গ্রুপ পর্যায়ে এই বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের বিরুদ্ধেই কল্যাণীতে ২-১ গোলে হেরেছিল মহমেডান। সেমিফাইনালে জিতে সেই হারের বদলা নিলেন মার্কোস-ফয়জলরা।