Mohammed Shami

হাড়ে চিড় নিয়েই বিশ্বকাপ খেলেছিলেন শামি!

পাঁচ বছর আগের সেই বিশ্বকাপ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। সেই বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে ১৭.২৯ গড়ে সাত উইকেট নিয়েছিলেন শামি। পেনকিলার নিয়েই খেলতে হয়েছিল বিশ্বকাপ, জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২০ ১২:৪১
Share:

চোট নিয়েই বিশ্বকাপে উজাড় করে দিয়েছিলেন শামি। —ফাইল চিত্র।

২০১৫ সালের বিশ্বকাপে হাঁটুতে চিড় নিয়েই খেলেছিলেন মহম্মদ শামি। প্রাক্তন ক্রিকেটার ইরফান পাঠানের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভ সেশনে এই কথা জানিয়েছেন স্বয়ং তিনি।

Advertisement

পাঁচ বছর আগের সেই বিশ্বকাপ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। সেই বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে ১৭.২৯ গড়ে সাত উইকেট নিয়েছিলেন শামি। ৩৫ রানে চার উইকেট ছিল সেরা বোলিং। ভারতের হয়ে প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় সর্বাধিক উইকেট শিকারী ছিলেন তিনি। আট ম্যাচে ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন উমেশ যাদব। তিনিই ছিলেন দলের সফলতম বোলার। উমেশের পরে তালিকায় দুই ছিলেন শামি।

২০১৫ বিশ্বকাপের প্রসঙ্গে শামি বলেন, “কখনও কখনও সামনে এত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ থাকে যে খেলতেই হয়। ২০১৫ বিশ্বকাপে যেমন হাঁটুতে চোট ছিল আমার। হাঁটতেই পারছিলাম না। পেনকিলার ও ইনজেকশন নিয়ে কাজ চালাচ্ছিলাম। ফিজিয়ো নীতিন পটেল এই সময় খুব সাহায্য করেছিল। বিশ্বকাপে পুরো খেলতে পারার আত্মবিশ্বাস ওই আমাকে দেয়। তখন আমার হাঁটুতে একটা অস্ত্রোপচারের দরকার ছিল। আমাকে বলা হয়েছিল যে যন্ত্রণা সহ্য করতে পারলে বিশ্বকাপে চালিয়ে দিতে পারব।”

Advertisement

আরও পড়ুন: খিদের জ্বালায় বাড়ির কাছে অজ্ঞান পরিযায়ী শ্রমিক, সাহায্য করলেন শামি

আরও পড়ুন: কোনও ওভারে চার উইকেট, কোনওটায় পাঁচ! এগুলিই কি ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ১০ ওভার?

শামি বলেছেন, “বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই হাঁটুতে চোট পেয়েছিলাম। ফুলে গিয়ে ঊরুর মতো দেখাচ্ছিল হাঁটু। প্রত্যেক দিন ডাক্তাররা ফ্লুইড বের করছিল। দিনে তিনটে করে পেনকিলার খেতে হচ্ছিল।” সেই সময় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির আস্থা ছিল তাঁর উপর।

সে বার সিডনিতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গিয়েছিল ভারত। শামি বলেছেন, “সেমিফাইনালের আগে দলকে বলেছিলাম যে আর যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছি না। মাহি ভাই ও ম্যানেজমেন্ট আমার উপর ভরসা রেখেছিল সেই অবস্থাতেও। যাই হোক, প্রথম স্পেলে গিয়েছিলাম মাত্র ১৩ রান। তার পর মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে মাহি ভাইকে বললাম যে আর বেরিয়ে যেতে পারছি না। কিন্তু ধোনি বলল যে ও পার্ট-টাইম বোলারদের উপর ভরসা রাখতে পারছে না। আমি যেন ৬০ রানের বেশি না দিই, সেই চেষ্টা করতে বলল। আমি কেরিয়ারে এমন অবস্থায় আগে কখনও পড়িনি। অনেকেই বলেছিল যে, আমার কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমি তো এখনও খেলে চলেছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement