ব্যাটিং ব্যর্থতা চলছেই শামির।
শেষ ছ’টি ইনিংসে মহম্মদ শামির ব্যাটিং পারফরম্যান্স চমকে দেওয়ার মতো। টানা ছ’টি ইনিংসে তাঁর ব্যাট কথাই বলেনি। খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। এর ফলে বাংলার স্পিড স্টার ছুঁয়ে ফেললেন ভগবত চন্দ্রশেখরকে। চন্দ্রশেখর ভারতের হয়ে পর পর ছ'টি ইনিংসে ব্যাট হাতে রান করতে ব্যর্থ হন। এত দিন পর্যন্ত চন্দ্রশেখরের ‘ডাক’ নিয়ে চর্চা হত।
এ বার শামিকে নিয়ে আলোচনা ক্রিকেটবিশ্বে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা ভাল ব্যাটিং করলেও ভারতের পেসারকে ব্যাট হাতে নিষ্প্রভই দেখিয়েছে। প্রথম ইনিংসে শূন্যের পরেই শামি ছুঁয়ে ফেলেছিলেন ' বোম্বে ডাক ' নামে পরিচিত অজিত আগরকরকে। প্রাক্তন অলরাউন্ডার আগরকর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নাগাড়ে পাঁচবার শূন্য করেছিলেন। তবে টেস্ট ক্রিকেটে সব চেয়ে বেশি বার শূন্য রানে ফিরতে হয়েছিল কোর্টনি ওয়ালশকে। ৪৩ বার খাতা না খুলে ফিরেছেন মাইকেল হোল্ডিংয়ের শিষ্য।
ওয়ালশের দেশের বিরুদ্ধে সাবাইনা পার্কে শামি শূন্য রানে আউট হন রাহকিম কর্নওয়ালের বলে। ২৮ বছরের শামি টেস্ট ক্রিকেটে করেছেন ৪৩৩ রান। হাফ সেঞ্চুরিও পেয়েছেন। কিন্তু, শেষ ছ’টি ইনিংসে শামি রান করতে না পেরে খবরের শিরোনামে এসেছেন। তাঁকে নিয়ে চর্চা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্রিকেটপাগলরা ভুলে গেলেন শামি বোলার। বল হাতে তাঁর দাপটই সবাই দেখতে চাইবেন। যদিও শামি রান না পাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয়নি ভারতকে। ইশান্ত শর্মা ও হনুমা বিহারীর পার্টনারশিপ ভারতকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেয়। ইশান্তও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হাফ সেঞ্চুরি করেন। হনুমা বিহারী জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি পান। অষ্টম উইকেটে ইশান্তের সঙ্গে বিহারী ১১২ রান জোড়েন। জেসন হোল্ডারের বলে ১১১ রানে আউট হন হনুমা। ইশান্ত খেলেন ৫৭ রানের ইনিংস। গত ছ’টি ইনিংসে মহম্মদ শামির ব্যাটিং—
১) ০ (২) বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ (কিংসটন)
২) ০ (১) বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ (নর্থ সাউন্ড)
৩) ০ অপরাজিত (৩) বনাম অস্ট্রেলিয়া (মেলবোর্ন)
৪) ০ অপরাজিত (০) বনাম অস্ট্রেলিয়া (পার্থ)
৫) ০ (১) বনাম অস্ট্রেলিয়া (পার্থ)
৬) ০ (১) বনাম অস্ট্রেলিয়া (অ্যাডিলেড)
আরও পড়ুন: অশ্বিন কি এ বার দিল্লিতে? আগাম স্বাগত জানালেন সৌরভ
আরও পড়ুন: শুধু নিজের সময়েরই নয়, রেকর্ড বলছে বুমরা এগিয়ে অনেক কিংবদন্তির থেকেও