আমির ও তাঁর স্ত্রী। ছবি: নাজিরের ফেসবুক পেজ থেকে
পাকিস্তানি পেস বোলার মহম্মদ আমির অবসর নিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে। তিনি অবসরনিলেন মাত্র ২৭ বছর বয়সে। তাঁর এই অসময়ে অবসর ঘোষণা ভাল ভাবে নেননি প্রাক্তন পাকিস্তানি ক্রিকেটার এবং ক্রিকেট ফ্যানেরা। এও শোনা যাচ্ছে যে, আমির টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব নিয়ে নিতে পারেন। এই খবর ছড়ানোর পরেই আমিরের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন অনেকে।
এই বিষয় নিয়ে আমির কোনও কথা না বললেও এ বার মুখ খুললেন তাঁর স্ত্রী নারজিস আমির। তিনি বলেন, ‘যদিও কাউকে আমাদের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনা, তবুও যাঁরা আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁদের জন্য জানাচ্ছি, আমার স্বামী আমিরের ইংল্যান্ড বা অন্য দেশের হয়ে খেলার প্রয়োজন নেই। তিনি একজন গর্বিত পাকিস্তানি এবং সে দেশের হয়ে খেলতে ভালবাসেন। শুধু আমির নয়, আমাদের মেয়ে মিন্সা যদি ক্রিকেট খেলতে চায়, তাহলে সেও তাঁর বাবার মতো পাকিস্তানের হয়েই খেলবে। আর সেটাই আমিরের ইচ্ছা।’
পাকিস্তান ‘সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র’ মন্তব্যকে ‘লাইক’ করে বিতর্কে পাক পেসার মহম্মদ আমির
টেস্ট থেকে অবসরের পর এ বার পাকিস্তান ছাড়তে চলেছেন মহম্মদ আমির?
নারজিস আরও বলেন, ‘আমির টেস্ট খেলা থেকে অবসর নিয়েছেন যাতে দেশের হয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে বেশি করে মনোযোগ দিতে পারেন। কামনা করি আল্লাহ যেন নেতিবাচক চিন্তা করা মানুষদের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা করার শক্তি দেন।’
নারজিস নিজে ব্রিটিশ নাগরিক। সেই সূত্রে আমির ৩০ মাস ব্রিটেনে থাকতে পারেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে রবিবার জানা গিয়েছিল, পাক পেসার পাকাপাকি ভাবে ব্রিটেনে থাকার পরিকল্পনা করছেন। এই খবর ভক্তদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে রোষের মুখে পড়েন আমির। সেই আগুনে ঘি ঢালেন আমির নিজেই। তিনি টুইটারে, ‘আমিরের এই সন্ত্রাসবাদী দেশ থেকে চলে যাওয়া উচিত’ লেখায় লাইক দেন। যা আরও অসন্তোষ সৃষ্টি করে। পাক কিংবদন্তি শোয়েব আখতারও আমিরের এই অসময় অবসর মেনে নিতে পারেননি।