ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এটাই সেরা জোরে বোলিং বিভাগ বলে মনে করেন শামি। ফাইল চিত্র
বিলেত উড়ে যাওয়ার আগে দুই প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডকে সতর্ক করে দিলেন মহম্মদ শামি। তাঁর দাবি এটাই ভারতের সেরা জোরে বোলিং। তাই বিদেশি দল নিজেদের ঘরের মাঠে উইকেট তৈরি করার আগে অন্তত দুই বার ভাবনা চিন্তা করছে। ফলে বিরাট কোহলীর ভারতীয় দল এখন বিদেশেও ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে।
তবে শামি শুধু একা নন, বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য তাঁর সঙ্গে আসন্ন সফরে রয়েছেন ইশান্ত শর্মা, যশপ্রীত বুমরা, উমেশ যাদব, মহম্মদ সিরাজ ও শার্দূল ঠাকুর। তাই দুই প্রতিপক্ষকে কার্যত হুঙ্কার দিয়ে শামি বলছেন, “আমাদের জোরে বোলিং বিভাগের সবচেয়ে ভাল দিক হল আমরা সবাই একনাগাড়ে ১৪০ থেকে ১৪৫ কিলোমিটার গতিবেগে বোলিং করতে পারি। সঙ্গে থাকে বিষাক্ত সুইং। কোনও দলে এক কিংবা দুজন খুব জোরে বোলিং করলে বিপক্ষের সমস্যা হয় না। কিন্তু আমাদের দলে সবাই জোরে লাইন-লেংথ বজায় রেখে সবাই দ্রুত গতিতে বোলিং করে। ফলে আমাদের মোকাবিলা করা বেশ কঠিন।”
একই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এটাই সেরা জোরে বোলিং বিভাগ। ‘সহেসপুর এক্সপ্রেস’ যোগ করেন, “কাউকে খাটো করছি না। অতীতে কিন্তু ভারতীয় দল এক কিংবা দুজন জোরে বোলারের উপর নির্ভর করত। তবে এখন সেই ধারা নেই। আমাদের এই দলে একাধিক ম্যাচ জেতানো বোলার রয়েছে। তাই বিদেশ সফরে গেলে বিপক্ষ দল উইকেটে ঘাস রাখার আগে অন্তত দু’ বার ভাবনা চিন্তা করে।”
ইশান্ত, শামি, বুমরাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আগামী দিনের জন্য নবদীপ সাইনি, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, দীপক চাহার, শার্দূলের মতো বোলাররা উঠে এসেছেন। তরুণ বোলারদের কীভাবে আগলে রাখেন সেটাও জানালেন এই ডানহাতি জোরে বোলার। শামি বলছেন, “আমাদের সাজঘরে সিনিয়র-জুনিয়র বলে কোনও ভেদাভেদ নেই। সবাই নিজের মতামত দিতে পারে। কারণ আমাদের আসল লক্ষ্য হল দেশের জয়। তাছাড়া আরও একটা বিষয়ের দিকে আমরা নজর দিয়ে থাকি। সিনিয়র হিসেবে দলের জয়ে অবদান রাখা ছাড়াও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কী উদাহরণ তৈরি করছি সেটাও কিন্তু বড় ব্যাপার। দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেই কাজটাই করছি।”