কাঠগড়ায়: গল্ফ কোর্সে এই ছবি পোস্ট করে সমস্যায় হাফিজ। ছবি: টুইটার
সাউদাম্পটনে, আজ, বৃহস্পতিবার থেকে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে নামার আগে বিতর্কের ছায়া পাকিস্তান শিবিরে। যে বিতর্কের কেন্দ্রে আবার সেই মহম্মদ হাফিজ। ইংল্যান্ডে জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিয়ম ভেঙে নিভৃতবাসে যেতে হল এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডারকে।
ইংল্যান্ডে আসার আগে পাক বোর্ডের করা প্রাথমিক করোনা পরীক্ষায় ‘পজ়িটিভ’ এসেছিল হাফিজের রিপোর্ট। তার পরে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরীক্ষা করিয়ে সেই ‘নেগেটিভ’ রিপোর্টের ফল সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে বিতর্কে জড়ান। বুধবার আবার একটি ছবি টুইট করে ঝামেলায় পড়লেন হাফিজ। যদিও তিনি টেস্ট নন, সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে এসেছেন।
এ দিন সকালে সাউদাম্পটনের হোটেল লাগোয়া একটি গল্ফ কোর্সে এক বয়স্ক মহিলার সঙ্গে ছবি টুইট করে হাফিজ লেখেন, ‘‘নব্বইয়ের বেশি বয়সি এক তরুণীর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল! যে একটি স্বাস্থ্যকর জীবন কাটাচ্ছে।’’
এই টুইট ছড়িয়ে পড়ার পরে প্রশ্ন ওঠে, কী করে হাফিজ বাইরের কারও কাছাকাছি যেতে পারেন। রাতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানায়, টিম ম্যানেজমেন্ট হাফিজকে নিভৃতবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ দিন সন্ধ্যায় তাঁর আবার করোনা পরীক্ষা হয়। যার ফল ‘নেগেটিভ’ এলে তবেই নিভৃতবাস উঠবে।
পাক বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘হাফিজের টুইট দেখে পরিষ্কার, তিনি দু’মিটার দূরত্বে থাকার নিয়ম মানেননি। তাই দলের চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে হাফিজকে নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে।’’ ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকেও ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। এর আগে জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিয়ম ভাঙায় জোফ্রা আর্চারকে এক টেস্টের জন্য নির্বাসিত করেছিল ইসিবি।
প্রথম টেস্টে আপত্তিজনক শব্দ ব্যবহারের কারণে ছেলে স্টুয়ার্টের জরিমানা করেন ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। এর পরে মজা করে স্টুয়ার্ট বলেছেন, ‘‘এ বার বড়দিনে বাবাকে দেখছি কোনও উপহার দেওয়া যাবে না! ক্রিসমাস কার্ডের তালিকা থেকেও বাদ দিয়ে দিলাম!’’