হুঙ্কার: ভারতের বিরুদ্ধে গোলাপি বলের চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি স্টার্ক।
ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে চার টেস্টের সিরিজ শুরু ভারতের। তার মধ্যে একটি টেস্ট গোলাপি বলে খেলার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহালি জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনিও তৈরি। সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কিন্তু অস্ট্রেলীয় পেসার মিচেল স্টার্কও চান, ভারতের বিরুদ্ধে গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্ট হোক।
মঙ্গলবার ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্টার্ক বলেন, ‘‘ভারতের বিরুদ্ধে দিন-রাতের টেস্ট খেলার পরিকল্পনা সত্যি ভাল। বড় দলের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলতে বরাবরই উপভোগ করি। আশা করি, সমর্থকেরাও এই টেস্টের জন্য অপেক্ষা করে থাকবেন।’’
গোলাপি বলে স্টার্কের পরিসংখ্যান চমকে দেওয়ার মতো। সাতটি দিন-রাতের টেস্ট খেলেছেন স্টার্ক। তাঁর উইকেটসংখ্যা ৪২। এই বাঁ হাতি পেসার বলেছেন, ‘‘গোলাপি বলে বোলিংটা বেশ উপভোগ করি। আর ভারতের বিরুদ্ধে আরও ভাল করার চেষ্টা তো করবই।’’
আরও পড়ুন: ধোনির মন্থর ব্যাটিং নিয়ে কটাক্ষ বেনের
কিন্তু করোনা পরবর্তী ক্রিকেটে বেশ কিছু পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। নির্দেশিকা জারি করে বেশ কিছু নিয়ম পরিবর্তন ইতিমধ্যেই করেছে আইসিসি। যার মধ্যে বলে থুতু লাগিয়ে পালিশ করার পদ্ধতিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। আইসিসি-র ক্রিকেট কমিটির প্রস্তাব, বলে থুতু লাগিয়ে পালিশ করলে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়তে পারে। কিন্তু মিচেল স্টার্ক মনে করেন, এই পরিবর্তন এলে ক্রিকেট বিরক্তিকর হয়ে উঠবে। কারণ, বলে পালিশ না থাকলে সুইং বন্ধ হয়ে যাবে। ব্যাটসম্যান ও বোলারদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও কমে যেতে পারে। অস্ট্রেলীয় বাঁ-হাতি পেসারের কথায়, ‘‘থুতু দিয়ে পালিশ করার পদ্ধতি বন্ধ করা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। তা হলে বল পালিশ করার জন্য কোনও পদার্থ ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হোক। সুইং বন্ধ হয়ে গেলে ক্রিকেট আর কেউ দেখতে চাইবেন না।’’ যোগ করেন, ‘‘ব্যাটসম্যান ও বোলারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কমে যাবে। খুদে ক্রিকেটারেরা কখনও বোলার হওয়ার স্বপ্ন দেখবে না। শুধু ব্যাটসম্যান হতে চাইবে।’’
আরও পড়ুন: ফাঁকা মাঠ সমাধান নয়, মত দ্রাবিড়ের
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার পিচের অধিকাংশ ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করে। তাই স্টার্কের আশঙ্কা, ‘‘পাটা উইকেটে বলও যদি সোজা যায়, তা হলে বল করার কোনও অর্থই থাকে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মানছি, থুতু ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা সাময়িক হতে চলেছে। কিন্তু সেই অল্প সময়ের জন্য বলকে পালিশ করতে দেওয়া হোক অন্য কোনও পদার্থ দিয়ে। না হলে ক্রিকেট একেবারেই রোমাঞ্চ হারাবে।’’