বেঙ্গালুরুর হিসেব মেটানোর কাজ শুরু করেছে স্টার্ক

এক সপ্তাহ আগেও রোগশয্যায় ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ওদের রিপোর্ট কার্ড মোটেও ভাল ছিল না। পরপর হারছিল, বোলারদের দেখে মনে হচ্ছিল সবার পাঞ্চিং ব্যাগ। সেখান দেখে পরপর দুটো ম্যাচ জিতেছে ওরা। বিপক্ষের কুড়ি উইকেট নিয়েছে। কড়া বার্তা দিয়ে রেখেছে যে, আমরা জেতার জন্য এসেছি। এই রোগীর শরীরে মারণ কোনও ভাইরাস ঢোকেনি। তাকে তার প্রিয় ছেলেরা ছেড়ে চলে গিয়েছিল।

Advertisement

রবি শাস্ত্রী

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৪২
Share:

সরফরাজকে নিয়ে স্টার্ক। ছবি টুইটার

এক সপ্তাহ আগেও রোগশয্যায় ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ওদের রিপোর্ট কার্ড মোটেও ভাল ছিল না। পরপর হারছিল, বোলারদের দেখে মনে হচ্ছিল সবার পাঞ্চিং ব্যাগ। সেখান দেখে পরপর দুটো ম্যাচ জিতেছে ওরা। বিপক্ষের কুড়ি উইকেট নিয়েছে। কড়া বার্তা দিয়ে রেখেছে যে, আমরা জেতার জন্য এসেছি।

Advertisement

এই রোগীর শরীরে মারণ কোনও ভাইরাস ঢোকেনি। তাকে তার প্রিয় ছেলেরা ছেড়ে চলে গিয়েছিল। গেইল, কিছুটা কোহলি, ডে’ভিলিয়ার্স আর কার্তিককে দেখে মনে হচ্ছিল লম্বা ছুটি কাটাচ্ছে। ওরা রানের খোরপোশ পাঠায়নি। প্রিয় ছেলেদের জায়গায় যে অনুচরদের রোগীর সঙ্গে থাকার কথা, সেই বোলাররা নিজেদের কাজ করার কোনও ইচ্ছে অনুভব করেনি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ডাকাতের হাত দেখে নিজেকে বাঁচাতে পারছিল না।

কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এ সব অতীত। বেঙ্গালুরু এখন সব হিসেব গোছাতে আগ্রহী। যে কাজটা করতে একটু দেরি করে হলেও টিমে এসে গিয়েছে মিচেল স্টার্ক। স্টার্কের গতি আছে, সুন্দর ইয়র্কার আছে যেটা নিচু হয়ে দু’দিকেই সুইং করে। অনেক বার দেখা যায় ব্যাটসম্যান কভার ড্রাইভ খেলতে যায়, কিন্তু তার পর ইয়র্কার সামলাতে ব্যাটটা জোরে নামিয়ে দেয়। তার পরেও অবশ্য বলটা গতিপথ পাল্টে প্যাডে আছড়ে পড়ে।

Advertisement

মিচেল জনসন আর স্টার্কের ফর্ম নিশ্চয়ই মেলবোর্নের জলিমন্ট স্ট্রিটে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হেড কোয়ার্টারে অনেকের চোখ কপালে তুলে দিয়েছে। এটা টি-টোয়েন্টি হলেও জনসন আর স্টার্ক কিন্তু ওয়ার্নার-ওয়াটসন, স্মিথ-ম্যাক্সওয়েলদের বেশ ভাল কষ্ট দিচ্ছে। অথচ ওরাও বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক। দু’মাসেরও কম সময়ে ইংল্যান্ডে ফের অ্যাসেজ শুরু হয়ে যাবে। অস্ট্রেলিয়ার এই ফর্ম ইংল্যান্ডকে কাঁপিয়ে দিতেই পারে।

দুই দল, দুই ছবি। ম্যাচ হারার পরের দিন কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবের সন্দীপ শর্মারা। ব্যস্ত নান খেতে।

হায়দরাবাদে তখন কেক উৎসব। ম্যাচের নায়ক ট্রেন্ট বোল্টকে কেক মাখানো চলছে। ছবি টুইটার

তবে বুধবার ঘরের মাঠে কোহলির ম্যাচটা মোটেও সহজ নয়। রাজস্থান রয়্যালস ইদানীং অপ্রত্যাশিত ভাবে উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে সুপার ওভারে হারল, পরে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ১৩০ তুলে বিধ্বস্ত হয়ে গেল। তবে রাজস্থান মানসিক ভাবে শক্ত টিম। আর সেটা ওরা কাউকে ভুলতে দেবে না। নিজেদের তো নয়ই।

ম্যাচটা বেশ উত্তেজক হবে। স্টার্ক আর ফকনার, কোহলি আর রাহানে, গেইল আর ওয়াটসন, ডে’ভিলিয়ার্স আর স্মিথ। বেঙ্গালুরু যদি জলের উপর মাথা রেখে চলতে পারে, তা হলে রোগী সাঁতরে ডাঙায় উঠে পড়তে পারবে। সবাই চায় বেঙ্গালুরু ভাল করুক। কারণ ওদের টিমে এমন সব নাম আছে যাদের টানে হাজার-হাজার দর্শক মাঠে আসেন। তা ছাড়া রাজস্থান এখন দু’একটা ম্যাচ হারলেই বা কী। বেঙ্গালুরু যদি জয়ের নিয়মিত ডোজ না পায়, তা হলে আবার টিমটা অপারেশন টেবলে শুয়ে পড়বে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement