দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্না দিচ্ছেন কুস্তিগিরেরা। —ফাইল চিত্র
আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে এ বার পাল্টা অভিযোগ করলেন এক কুস্তিগিরের কাকা। অমিত পালোয়ান নামের ওই ব্যক্তির অভিযোগ, ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহকে জোর করে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা। তাঁদের মগজধোলাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অমিত।
ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এক নাবালিকা-সহ বেশ কয়েক জন মহিলা কুস্তিগিরকে হেনস্থার অভিযোগ করেছেন বজরংরা। অমিতের অভিযোগ, তাঁর ভাইঝির জন্ম ২০০৪ সালে। সেই হিসাবে তার বয়স ১৮ বছরের বেশি। কিন্তু যাতে পকসো আইনে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যায় তার জন্য কুস্তিগিরেরা তার বয়স ১৬ বছর দেখান। হরিয়ানার রোহতকের বাসিন্দা অমিত বলেন, ‘‘কুস্তিগিরেরা নিজেদের স্বার্থ পূরণের জন্য আমাদের পরিবারকে ব্যবহার করেছেন। আমার ভাইঝিকে নাবালিকা বলা হয়েছে। কিন্তু ওর বয়স ১৮ বছরের বেশি।’’
সাক্ষী, বিনেশরা কুমিরের কান্না কাঁদছেন বলেও অভিযোগ করেছেন অমিত। তিনি বলেছেন, ‘‘সাক্ষী, বিনেশরা নিজেদের কাজ উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। ওঁদের চোখের জল পুরোটাই নাটক। সবাই ওঁদের চোখের জল দেখছেন। কিন্তু আমার মা, ঠাকুমাদের চোখের জল কেউ দেখছেন না। রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের খেলা খেলছেন। কুস্তিগিরেরা নিজেদের খেলা খেলছেন। মাঝে আমরা সমস্যায় পড়ছি।’’
অমিত আরও দাবি করেছেন, তাঁর ভাইঝির সঙ্গে কোনও রকমের হেনস্থার ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেছেন, ‘‘ও যখন অনুশীলন করত, তখন আমি ওকে অনেক বার জিজ্ঞাসা করেছি কোনও রকমের সমস্যা হচ্ছে কি না। ও বার বার বলেছে, কোনও সমস্যা হয়নি। আমি নিশ্চিত, এই অভিযোগের পিছনে কোনও চক্রান্ত রয়েছে।’’
মঙ্গলবার কুস্তিগিরেরা দাবি করেন, হরিদ্বারে গঙ্গায় নিজেদের সব পদক ভাসিয়ে দেবেন তাঁরা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবেই এই পদক্ষেপ বলে জানান তাঁরা। মঙ্গলবার বিকালে হরিদ্বারে পৌঁছে গেলেও শেষ পর্যন্ত কৃষক নেতাদের পরামর্শে পদক না ভাসিয়ে ফিরে আসেন বজরং, সাক্ষীরা। কেন্দ্রকে পাঁচ দিনের সময়সীমা দিয়েছেন তাঁরা। তার মধ্যে তাঁদের দাবি না মানলে সত্যি সত্যিই তাঁরা পদক ভাসিয়ে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।