ময়দানে মেদিনীপুর

‘খেলো ইন্ডিয়া’র জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে দীপ, নিশারা

‘খেলো ইন্ডিয়া’র অধীনে জাতীয়স্তরের অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে যাচ্ছে মেদিনীপুরের ছেলেমেয়েরা। রাজ্যস্তরের অ্যাথলেটিক্সে অনূর্ধ্ব ১৪ ছেলে ও মেয়েদের বিভাগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

Advertisement

সৌমেশ্বর মণ্ডল

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৩৯
Share:

‘খেলো ইন্ডিয়া’র জাতীয়স্তরের প্রতিযোগিতায় ডাক পাওয়া (বাঁ দিক থেকে) সুব্রত মহারানা, নিশা সরেন, দীপ মুখিয়া ও মহাকাশ মণ্ডল।-সৌমেশ্বর মণ্ডল

‘খেলো ইন্ডিয়া’র অধীনে জাতীয়স্তরের অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে যাচ্ছে মেদিনীপুরের ছেলেমেয়েরা। রাজ্যস্তরের অ্যাথলেটিক্সে অনূর্ধ্ব ১৪ ছেলে ও মেয়েদের বিভাগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২৬-২৮ ডিসেম্বর কলকাতায় সাইয়ের মাঠে রাজ্যস্তরের এই প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ার সুবাদেই জাতীয়স্তরে ৪০০ মিটার দৌড়, লং জাম্প ও ৪০০ মিটার রিলে দৌড়ে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে জঙ্গলমহলের এই জেলার সম্ভাবনাময় অ্যাথলিট দীপ মুখিয়া, নিশা সরেন, মহাকাশ মণ্ডল, সুব্রত মহারানা ও জাহিদ খান।

Advertisement

‘খেলো ইন্ডিয়া’য় রাজ্যস্তরে প্রথম স্থানাধিকারীরাই জাতীয়স্তরে যাবে। মেদিনীপুরের কুইকোটার বাসিন্দা দীপ মুখিয়া রাজ্যস্তরে ৪০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হয়ে সেই ছাড়পত্র পেয়েছে। এ ছাড়াও দীপ রাজ্যস্তরে ১০০ মিটার দৌড়ে দ্বিতীয়, ও লং জাম্পে তৃতীয় হয়েছে। বাবা রঙের মিস্ত্রি। অভাবের সঙ্গে যুঝেই এগোচ্ছে দীপ। সে বলছিল, ‘‘সংসারের অবস্থা ভাল নয়। খেলার সরঞ্জাম কিনে দেওয়ার কথা বলতে পারি না। জাতীয়স্তরে সফল হয়ে কিছু একটা করতেই হবে।’’

অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে লং জাম্পে প্রথম হয়ে জাতীয়স্তরে যাচ্ছে নিশা সরেন। রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটার দৌড়ে দ্বিতীয় ও মেয়েদের ৪০০ মিটার রিলে দৌড়ে দ্বিতীয় হয়েছে নিশা। নির্মল হৃদয় বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নিশার বাবা পুলিশকর্মী। নিশার স্বপ্ন বড় অ্যাথলিট হওয়া।

Advertisement

৪০০ মিটার রিলেতে রাজ্যস্তরে দলগত ভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দল। এই দলের হয়ে জাতীয়স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে দীপ মুখিয়া, সুব্রত মহারানা, মহাকাশ মণ্ডল ও জাহিদ খান। পিতৃহীন সুব্রতর মা চায়ের দোকান চালিয়ে সংসারের টাকা জোগাড় করেন। সুব্রতও বলছিল, ‘‘জাতীয়স্তরে সফল হতেই হবে। তবে যদি কোথাও একটা কাজ পাই।’’

জাতীয়স্তরে সফল হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এখন অনুশীলনে ব্যস্ত দীপ, নিশা, সুব্রত, মহাকাশ, জাহিদরা। মেদিনীপুর অ্যাথলেটিক কোচিং সেন্টারে চলছে গা ঘামিয়ে নেওয়া। কোচ সুব্রত পান বলছিলেন, ‘‘এখানে পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। জাতীয়স্তরে সিন্থেটিক ট্র্যাকে দৌড়তে হয়। অথচ এখানে সিন্থেটিক ট্র্যাক নেই। দক্ষিণবঙ্গে অ্যাথলেটিক্সের একটা স্টেডিয়াম হলে ছেলেমেয়েরা আরও ভাল ফল করবে।’’ পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা যুব আধিকারিক তীর্থঙ্কর বিশ্বাসের আশা, ‘‘জেলার ছেলেমেয়েরা রাজ্যস্তরে খুবই ভাল ফল করেছে। আশাকরি জাতীয়স্তরেও মেদিনীপুরের মুখ উজ্জ্বল করবে তারা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement