পাকিস্তান ক্রিকেটে অতীত হয়ে গেলেন আর্থার। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের জাতীয় দলের নেতৃত্ব থেকে সরফরাজ আহমেদকে সরানোর দাবি করেছিলেন কোচ মিকি আর্থার। সরফরাজের নেতৃত্ব-ক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন তিনি। পিসিবি-র ক্রিকেট কমিটিকে তিনি জানিয়েছিলেন, আরও বছর দুয়েক সময় তাঁকে দেওয়া হলে পাকিস্তান ভাল ফলাফল করবে। কিন্তু সেই ‘ভাল ফলাফল’ আর করা হল না মিকি আর্থারের। সরফরাজকে ছাঁটাইয়ের দাবি তোলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চাকরি গেল পাক কোচেরই।
তাঁর কাজে যে পাক ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)-র কর্তারা সন্তুষ্ট ছিলেন না, সে খবর আগেই জানিয়েছিল বোর্ডের একটি সূত্র। আর্থারের চাকরি ঝুলছিল সরু সুতোয়। সেটা তিনি নিজেও বুঝেছিলেন। তাই সরফরাজকে সরানোর দাবি তুলেছিলেন তিনি। বুধবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দিল, আর্থারের সঙ্গে চুক্তি আর বাড়ানো হচ্ছে না। আর্থার ছাড়াও কপাল পুড়েছে বোলিং কোচ আজহার মেহমুদ, ব্যাটিং কোচ গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার ও ট্রেনার গ্র্যান্ট লুডেনের। কারও সঙ্গেই চুক্তি বাড়ানো হয়নি।
পিসিবি জানিয়েছে, চিফ কোচ, ব্যাটিং কোচ, বোলিং কোচ ও ট্রেনার পদের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। পিসিবি-র প্রধান এহসান মানি বলেন, ‘‘পিসিবি-র পক্ষ থেকে আমি মিকি আর্থার, গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার, গ্র্যান্ট লুডেন আর আজহার মেহমুদকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জাতীয় দলের হয়ে তাঁদের দায়বদ্ধতা ও পরিশ্রম উদাহরণ হয়ে থাকবে। তাঁদের ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা রইল।’’
আরও পড়ুন: নেতৃত্ব থেকে এখনই সরানো হোক সরফরাজকে, পিসিবি-র কাছে দাবি কোচ আর্থারের
আরও পড়ুন: ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেললেন, ধোনির রেকর্ডও ভাঙলেন ঋষভ
২০১৬-এর মাঝামাঝি সময় থেকে পাকিস্তানের কোচ হিসেবে কাজ করছেন আর্থার। তাঁর কোচিংয়ে পাকিস্তান আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল। টি টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তান এখন এক নম্বরে। তবে টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের পারফরম্যান্স ক্রমশ তলানিতে এসে ঠেকেছে। ওয়ানডে ক্রিকেটেও ধারাবাহিকতা নেই পাকিস্তানের।
আর্থারের চাকরি গেলেও সম্ভবত বেশি দিন তাঁকে বেকার হয়ে থাকতে হবে না। ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ড তাঁর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শোনা যাচ্ছে, বিদেশি কোচ নিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহী নয় পিসিবি। কোচ হিসেবে ভেসে উঠছে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইনজামাম উল হক ও ওয়াসিম আক্রমের নাম।