সরফরাজকে নেতা হিসেবে চান না আর্থার। —ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন পাক পেসার শোয়েব আখতার আগেই জানিয়েছিলেন, পাক জাতীয় দলের নেতৃত্ব থেকে সরফরাজ আহমদকে সরানো উচিত। এ বার সরফরাজকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর দাবি করলেন পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থার। সরফরাজকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর দাবি জানিয়েই তিনি চুপ থাকেননি। নিজের কোচিংয়ের স্বপক্ষেও গলা ফাটিয়েছেন তিনি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আর্থারের আর্জি, তাঁকে আরও দু’বছর সময় দেওয়া হোক। তা হলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে।
আর্থার আর সরফরাজের সম্পর্ক ক্রিকেটপ্রেমীদের ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় দলে গ্রেগ চ্যাপেল জমানায়। প্রাক্তন অজি কোচ ও তৎকালীন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সুসম্পর্কের’ কথা সবারই জানা। সৌরভের বিরুদ্ধে বোর্ডের কাছে মেল পাঠিয়ে অনাস্থা প্রকাশ করেছিলেন গুরু গ্রেগ। ঠিক সেই পথেই হাঁটলেন আর্থার। পিসিবি-র কাছে পাকিস্তানের অধিনায়কের বিরুদ্ধেই বক্তব্য পেশ করলেন আর্থার।
পিসিবি-র একটি বিশেষ কমিটি পাকিস্তানের গত তিন বছরের পারফরম্যান্স নিয়ে ময়নাতদন্ত করছে। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের পারফরম্যান্সও। পিসিবি-র একটি সূত্র বলছে, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে শাদাব খানকে নেতা করার পরামর্শ দিয়েছেন আর্থার। অন্য দিকে টেস্ট ক্রিকেটে বাবর আজমকে ক্যাপ্টেন করার প্রস্তাব দিয়েছেন পাক কোচ। সরফরাজের নেতৃত্ব নিয়েও আর্থার নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন কমিটির কাছে। কমিটির কাছে আর্থার আবেদন করেছেন, ভাল ফলাফল করার জন্য আরও দু’বছর তাঁকে রেখে দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন: ২২ বলে ৫১! টরোন্টোয় ফের যুবি ম্যাজিক
আরও পড়ুন: দুরন্ত ক্যাচ নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড যুবরাজ
২০১৬-এর মাঝামাঝি সময় থেকে পাকিস্তানের কোচ হিসেবে কাজ করছেন আর্থার। তাঁর কোচিংয়ে পাকিস্তান আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল। টি টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তান এখন এক নম্বরে। তবে টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের পারফরম্যান্স ক্রমশ তলানিতে এসে ঠেকেছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা নেই পাকিস্তানের। তবে আর্থার যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তার সবটার সঙ্গে সহমত পোষণ করছেন না কমিটির সদস্যরা। আর্থার জানান, ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরে পাকিস্তান ফিল্ডিংয়ের মান পড়তে শুরু করে। তার কারণ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিং কোচ স্টিভ রিক্সনকে জোর করে সরিয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন আর্থার। তাঁর বক্তব্য অবশ্য মেনে নেয়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। আর্থারের বক্তব্য শোনার পরে পিসিবি শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন তারকা মাহেলা জয়বর্ধনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু, জয়বর্ধনে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-এর সঙ্গে জড়িত। আইপিএল থেকে জয়বর্ধনে যে অর্থ পান, সেই অর্থ পিসিবি-র পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে আর্থারকে সরাতেও পারছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।