চর্চায়: ধোনির দক্ষতা নিয়ে সরব চেন্নাইয়ের সতীর্থরা। ফাইল চিত্র
গত জুলাই মাসে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের পরে আর ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলতে নামেননি তিনি। যা দেখে সেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনির জাতীয় দলে ফেরা কঠিন বলে মন্তব্য করেছিলেন গৌতম গম্ভীর।
সেই মন্তব্যের পরে ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ধোনির শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে সওয়াল করলেন আইপিএলে তাঁর দল চেন্নাই সুপার কিংসের প্রাক্তন তারকা মাইক হাসি। বলে দিলেন, ‘‘ধোনি ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ফিনিশার। বিপক্ষ অধিনায়ককে ও দ্রুত চাপে ফেলে দিতে পারে।’’
একটি জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইটের ভিডিয়ো-সাক্ষাৎকারে হাসি বলেছেন, ‘‘ধোনি হল অবিশ্বাস্য শক্তি ও আত্মবিশ্বাসে ভরপুর একজন ক্রিকেটার। এই গুণের জন্যই ও সর্বকালের সেরা ফিনিশার।’’ যোগ করেছেন, ‘‘ধোনির মানসিক দৃঢ়তা অসাধারণ। ও জানে, কখন সীমানার বাইরে বল পাঠাতে হবে। সময় এলে সেটা ও করবেই। একেই বলে আত্মবিশ্বাস। যা আমারও নেই।’’
হাসি আরও জানিয়েছেন, সিএসকে-তে খেলার সময়ে রান তাড়া করতে গিয়ে ধোনির কাছ থেকে বেশ কিছু মূল্যবান পরামর্শ পেয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘রান তাড়া করতে গিয়ে আমি চেষ্টা করতাম প্রতি ওভারে লক্ষ্য যেন ১২-১৩ রানে গিয়ে না ঠেকে। এটা আমি ধোনির কাছ থেকেই শিখেছি। ও এক অবিশ্বাস্য ক্রিকেটার। যে বিশ্বাস করে, মানসিক চাপ যাকে সব চেয়ে কম গ্রাস করবে, সেই ম্যাচটা জিতবে। যে কারণে মাথা ঠান্ডা রেখে ও ক্রিজে থাকে। এতে বোলারের উপরে চাপটা আরও বাড়ে।’’ হাসি যোগ করেন, ‘‘প্রথম সারির দু’তিন জন আউট হয়ে যাওয়ার পরে বোলাররা যখন দেখে ধোনি টিকে রয়েছে, তাতে ওদেরই চাপ বাড়ে। তখনই নো, ওয়াইড বা লুজ বল আসা শুরু হয়। ফলে রান বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ আসে। আর এটাই ধোনির রণনীতি। তা হল, যত বেশি সময় তুমি মাথা ঠান্ডা রেখে লড়বে, তত বেশি সময় তুমি প্রতিপক্ষের মাথায় চড়ে থাকতে পারবে।’’
আরও পড়ুন: বুমরাদের নিয়ে শঙ্কা প্রাক্তন ট্রেনারের
হার প্রসঙ্গে হাসি বলছেন, ‘‘ধোনি খুব দ্রুত হারের ধাক্কা ভুলে যেতে পারে। ম্যাচ হারলে একটু হতাশা আসে। কিন্তু তার পরেই পরবর্তী ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করে দেয় ও। যা আরও একটা গুণ।’’
ধোনির ঠান্ডা মস্তিষ্কের প্রশংসা করে সিএসকে-র বর্তমান সতীর্থ মুরলী বিজয় উল্লেখ করেছেন ২০১৪ সালে ট্রেন্ট ব্রিজে তাঁর ও ধোনির জুটিতে করা ১২৬ রানের ইনিংসকে। মন্তব্য, ‘‘ওই ইনিংসটা স্মরণীয়। আমাদের চার উইকেট চলে গিয়েছিল। এমএস আমাকে শান্ত মাথায় খেলার পরামর্শ দিয়ে স্কোরবোর্ডকেও সচল রাখছিল।’’ ধোনির পাশে দাঁড়িয়েছেন সিএসকে-এর আর এক সতীর্থ সুরেশ রায়না। তিনি বলেছেন, ‘‘মাহি ভাইয়ের গতিবিধিতে বয়সের কোনও লক্ষণ চোখে পড়েনি। এ বার সিএসকে শিবিরে ধোনি যে ভাবে ব্যাটিং করেছিল, তা অসাধারণ ছিল।’’
আরও পড়ুন: লকডাউনের মেয়াদ বাড়তেই অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছোচ্ছে আইপিএল