যাঁদের বিরুদ্ধে খেলেছেন, তাঁদের মধ্যে থেকে টেস্টের জন্য সেরা একাদশ বেছে নিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ব্যাটসম্যান মাইকেল হাসি। সেই দলের নাম তিনি রেখেছেন ‘বেস্ট এনিমিজ ইলেভেন’। ২০০৫ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্ট খেলেছেন হাসি। মাঠে সাক্ষী থেকেছেন ক্রিকেটীয় অজস্র কীর্তির। দেখেছেন ক্রিকেটের সেরা তারকাদের। আর তাঁদের মধ্যে থেকেই ‘দ্য আনপ্লেয়েবল পডকাস্ট’-এ বিপক্ষের সেরা ১১ টেস্ট ক্রিকেটার বেছে নিয়েছেন ৪৪ বছর বয়সি। হাসির বেছে নেওয়া সেরা শত্রু একাদশে রয়েছেন তিন ভারতীয়ও। দেখে নিন সেই দল।
হাসির দলে ওপেন করবেন বীরেন্দ্র সহবাগ। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের জন্যই পরিচিত তিনি। ডানহাতি ওপেনারের টেস্টে দুটো ট্রিপল সেঞ্চুরি রয়েছে। ১০৪ টেস্টে ৮৫৮৬ রান করেছেন তিনি। সেঞ্চুরির সংখ্যা ২৩। হাফ-সেঞ্চুরির সংখ্যা ৩২। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ম্যাচের রাশ নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষমতা ছিল তাঁর।
ওপেনিংয়ে সহবাগের সঙ্গী হবেন গ্রেম স্মিথ। ১১৭ টেস্টে ৯২৬৫ রান করেছেন তিনি। ২৭ সেঞ্চুরি ও ৩৮ হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। সর্বাধিক ২৭৭। ২০০২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টেস্টে খেলেছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
তিনে নামবেন ব্রায়ান লারা। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা। ১৩১ টেস্টে ৫২.৮৮ গড়ে ১১৯৫৩ রান করেছেন তিনি। রয়েছে ৩৪ সেঞ্চুরি, ৪৮ হাফ-সেঞ্চুরি। টেস্টে তাঁর সর্বাধিক হল অপরাজিত ৪০০।
চারে নামবেন সচিন তেন্ডুলকর। ৫৩.৭৮ গড়ে ১৫,৯২১ রান করেছেন তিনি। শতরানের সংখ্যা ৫১। অর্ধশতরানের সংখ্যা ৬৮। সর্বাধিক অপরাজিত ২৪৮। টেস্টে মোট রান ও শতরানের সংখ্যায় বাকিদের চেয়ে অনেক এগিয়ে তিনি।
পাঁচে আর এক ভারতীয়, বিরাট কোহালি। ৩১ বছর বয়সি এখনও পর্যন্ত খেলেছেন ৮৬ টেস্ট। ৫৩.৬২ গড়ে করেছেন ৭২৪০ রান। ২৭ সেঞ্চুরি করেছেন এখনও পর্যন্ত। হাফ-সেঞ্চুরির সংখ্যা ২২। সর্বাধিক অপরাজিত ২৫৪। ক্রিকেটমহলে কেউ কেউ মনে করছেন যে ছন্দে রয়েছেন, তাতে সচিনের রেকর্ড ভাঙতে পারেন একমাত্র তিনিই।
ছয়ে নামবেন জ্যাক কালিস। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার এই প্রজন্মের সেরা। ১৬৬ টেস্টে ১৩২৮৯ রান করেছেন তিনি। ৫৫.৩৭ গড়। রয়েছে ৪৫ সেঞ্চুরি, ৫৮ হাফ-সেঞ্চুরি। সর্বাধিক ২২৪। আবার পেস বোলার হিসেবে রয়েছে ২৯২ উইকেট। পাঁচ বার নিয়েছেন ইনিংসে পাঁচ উইকেট।
উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে রয়েছেন কুমার সঙ্গাকারা। মাইক হাসির মাথায় আরও দুটো নাম ছিল—মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু, টেস্ট ক্রিকেটে প্রভাবের কথা চিন্তা করে সঙ্গাকে দলে রেখেছেন হাসি। ১৩৪ টেস্টে ৫৭.৪০ গড়ে ১২৪০০ রান, ৩৮ শতরান রয়েছে তাঁর। নিয়েছেন ১৮২ ক্যাচ। স্টাম্পিংয়ের সংখ্যা ২০।
নতুন বলে আক্রমণ শুরু করবেন ডেল স্টেন। প্রোটিয়া পেসার ৯৩ টেস্টে ৪৩৯ উইকেট নিয়েছেন। ২৬ বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন পাঁচ বার। দুরন্ত গতিতে সুইং করানোর ক্ষমতা তাঁর সহজাত। অনেকের মতে, এই সময়ের সেরা পেসার স্টেন-গানই।
আর এক প্রোটিয়া পেসার মর্নি মর্কেলও আছেন হাসির দলে। লম্বা মর্কেল বাড়তি বাউন্স আদায় করতে পারতেন। ৮৬ টেস্টে ৩০৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন আটবার। ২০০৬ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত টেস্টের আসরে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন আবার বিখ্যাত তাঁর সুইংয়ের জন্য। এখনও খেলছেন তিনি। এর মধ্যেই ১৫১ টেস্ট খেলে ফেলেছেন। নিয়েছেন ৫৮৪ উইকেট। ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ২৮ বার। টেস্টে ১০ উইকেট নিয়েছেন তিন বার।
দলে একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার হলেন মুথাইয়া মুরলীথরন। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি অফস্পিনার টেস্টে সর্বাধিক উইকেটের মালিক। ১৩৩ টেস্টে তিনি নিয়েছেন ৮০০ উইকেট। ইনিংসে ৬৭ বার নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। টেস্টে ১০ উইকেট নিয়েছেন ২২ বার।