Michael Holding

বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে বিস্ফোরক হোল্ডিং

ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন এই ফাস্ট বোলার বলেছেন, ‘‘জামাইকায় বেড়ে ওঠার সময় আমি কখনও বর্ণবিদ্বেষের শিকার হইনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২১ ০৬:১৪
Share:

মাইকেল হোল্ডিং।ছবি রয়টার্স।

যৌবনে তিনি যে রকম আগ্রাসী চরিত্রের ছিলেন, তাতে ইংল্যান্ডে বড় হতে হলে খুব বেশি দিন বেঁচে থাকতে পারতেন না। এই বিস্ফোরক কথা বলেছেন স্বয়ং মাইকেল হোল্ডিং।

Advertisement

ইংল্যান্ডের একটি সংবাদপত্রে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি মন্তব্য করেছেন, ‘‘মনে হয় না আমি এত দিন বেঁচে থাকতাম বলে। আমি খুব আগ্রাসী মানসিকতার ছিলাম। এক বার নিউজ়িল্যান্ড সফরে (১৯৮০) তো খেলা চলাকালীন স্টাম্প লাথি মেরে ভেঙে দিয়েছিলাম। ইংল্যান্ডে এবনির সঙ্গে যা হয়েছে, সেটা কি আমি সহ্য করতে পারতাম? না, এত দিন বেঁচে থাকা হত না আমার।’’

হোল্ডিং যাঁর কথা বলেছেন, তিনি ইংল্যান্ডের প্রথম মহিলা কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার, এবনি রেনফোর্ড-ব্রেন্ট। কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ার কারণে যাঁকে অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে ইংল্যান্ডে। হোল্ডিং পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ওই রকম আচরণ করা হলে তিনি মুখ বুজে মেনে নিতেন না। আর তার ফলটাও ভয়ঙ্কর হত।

Advertisement

বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে বরাবরই সরব হয়েছেন হোল্ডিং। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন এই ফাস্ট বোলার বলেছেন, ‘‘জামাইকায় বেড়ে ওঠার সময় আমি কখনও বর্ণবিদ্বেষের শিকার হইনি। কিন্তু জামাইকা থেকে বার হলেই বর্ণবিদ্বেষের মুখে পড়তে হয়েছে। যত বার ওই রকম পরিস্থিতিতে পড়েছি, নিজেকে বলেছি, এটা তোমার জীবন নয়। তুমি আবার বাড়ি ফিরে যাবে।’’

এখানেই না থেমে হোল্ডিং এও বলেন, ‘‘আর আমি যদি ওই সময় প্রতিবাদ করতাম, তা হলে আমার ক্রিকেট জীবন এত দীর্ঘ হত না। বা টিভিতেও এত দিন ধরে ধারাভাষ্য দিতে পারতাম না। ইতিহাস সাক্ষী আছে, যখনই কোনও কৃষ্ণাঙ্গ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে, তাকে অবিচারের শিকার হতে হয়েছে।’’ যোগ করেন, ‘‘আমি যদি মুখ খুলতাম, তা হলে ওরা বলত, ‘আর একটা বদমেজাজি কৃষ্ণাঙ্গ এসেছে।’ আমাকে আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হত।’’ বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশিত হবে হোল্ডিংয়ের লেখা বই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement