...রায়না কালকে বলেছিল এ দেশে আমাদের টানা তিন মাস হয়ে গেল। আমি বললাম তাই নাকি? এত হিসেব রাখিনি। রাখতেও চাই না। দূর দেশে এত দিন আছি এ সব দিনক্ষণ গুনতে গেলেই ডিপ্রেস্ড লাগবে। তার চেয়ে আমার পলিসি হল প্রত্যেকটা দিনকে নতুন দিন হিসেবে একটা একটা করে ধরো। আর প্রেজেন্টে থাকো। কালকের ম্যাচে আমরা ফেভারিট, এই জাতীয় কথা আমি বলতেই চাই না। সাউথ আফ্রিকা খুব ভাল টিম। এবি ডে’ভিলিয়ার্সের খেলার ধরন আমি জানি। খুব কাছ থেকে ওকে দেখি। কিন্তু সেটা আলাদা ক্রিকেট। এটা আলাদা। ডেল স্টেইনও আমার খুব বন্ধু। তা বলে মাঠের ভেতরে বন্ধুত্বের কোনও জায়গা নেই। সেখানে ও নির্মম থাকবে, আমি তো থাকবই! স্পিন আমাদের একটা ভরসা নিশ্চয়ই। অশ্বিন পাকিস্তান ম্যাচে দারুণ বল করেছে। কাল ও কেমন বল করবে তা নির্ভর করছে কী মানসিকতা নিয়ে ও নামবে। ও যদি উইকেট নেওয়ার মানসিকতা নিয়ে নামে আমি শিওর ভাল বল করবে। যেটা সে দিন অ্যাডিলেডে করেছিল। ব্যক্তিগত ভাবে অ্যাডিলেড আমার ভীষণ আরামের জায়গা। ওই মাঠটায় পা দিলেই কেমন যেন মনে হয় আমি এখানকার। এখানকার সব কিছু আমার চেনা। শুনেছি ব্রায়ান লারার সঙ্গে সিডনিরও এ রকমই অ্যাসোসিয়েশন ছিল। এমসিজিটাও একটা অদ্ভুত পরিবেশের। এত শুনেছি বা টিভিতে দেখেছি এই মাঠের খেলাগুলো যে, পা দিলে ভেতরে একটা কেমন অনুভূতি হয়! মাঠ শুনছি কাল প্রায় ভর্তিও থাকবে। সেটা একটা দারুণ মোটিভেশন। ভর্তি মাঠে পারফর্ম না করতে পারার মধ্যে বিশাল একটা লজ্জা আছে। কিন্তু সেটা কী করা যাবে? স্পোর্টসে তো হারা জেতা সমান থাকবেই। পাকিস্তান ম্যাচ দেখে আপনাদের মধ্যে কারও কারও মনে হয়েছে আমরা ইচ্ছাকৃত ত্রিদেশীয় সিরিজে ঢিলে দিয়েছিলাম। ওয়ার্ল্ড কাপে আবার ধড়ফড় করে উঠেছি। আমার কথাটা শুনে খুব অবাক লাগছে। এটা কি হয় নাকি যে রিমোটে ভলিউম বাড়ানো-কমানোর মতো আপনি লড়াইটা কমিয়ে আনলেন পরের টুর্নামেন্টের কথা ভেবে? আমি অন্তত সে ভাবে ক্রিকেট খেলি না। গত কয়েক বছর বড় টুর্নামেন্টে যদি আমাদের রেকর্ড দেখেন, আমরা সব সময়ই ভাল খেলেছি...