প্রস্তুতিতে মগ্ন মতুয়া মিলন বীথির ফুটবলাররা নিজস্ব চিত্র
ফুটবলে নিজেদের দল তৈরি করার পথে মতুয়ারা। অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চলছিল। রাজ্যের ফুটবল নিয়ামক সংস্থা আইএফএ-কে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনার দাপটে সবকিছু থমকে যাওয়ায় আইএফএ-ও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। তবে দমে যাননি মোহনবাগান, মহমেডান ও বাংলা দলে একসময় চুটিয়ে ফুটবল খেলা গৌতম ঠাকুর। পাশে পেয়ে যান ময়দানের পোড় খাওয়া কোচ রঘু নন্দীকে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও।
প্রথমে ঠিক ছিল ক্লাবের নাম হবে ‘মতুয়া ফুটবল ক্লাব’। কিন্তু কলকাতা ময়দানের প্রথম ডিভিশনের ক্লাব মিলন বীথির সঙ্গে যুক্ত হয় মতুয়া ফুটবল ক্লাব। নতুন নাম ‘মতুয়া মিলন বীথি’। লক্ষ্য মতুয়া আবেগকে ছুঁয়ে এই সম্প্রদায়ের মানুষকে মাঠমুখি করা। গৌতম ঠাকুর আনন্দবাজার ডিজিটালকে বলেন, ‘‘মতুয়াদের ক্লাব হলেও সবাই আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন। আমাদের দলগঠনেও যোগ্যতাই হবে একমাত্র মাপকাঠি। আপাতত পাঁচ বছরের জন্য সংযুক্ত হয়েছে দুই ক্লাব। আমরা ধীরে ধীরে দলগঠনের দিকে মন দেব। বিভিন্ন জায়গায় আমরা ট্রায়াল নেব। সেখানে থাকবেন রঘু নন্দী। তাঁর নেতৃত্বেই আমরা দলটা গোছাতে চাইছি। ভবিষ্যতে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহমেডানের মতো সমর্থকপুষ্ট ক্লাব হয়ে উঠতে চাই আমরা।’’
আপাতত ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি থেকেই দল পরিচালনার কাজ চলবে। ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে ‘মতুয়া স্পোর্টস ফাউন্ডেশন’, যার সভাপতি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তাঁর নেতৃত্বেই কাজ চালাচ্ছেন গৌতম বাবুরা। শান্তনু বলেন, ‘‘ভোটের প্রচারে ব্যস্ত থাকায় ফুটবল দলের ব্যাপারে মন দিতে পারিনি। তবে ভোট মিটলে খুব তাড়াতাড়ি আমরা এই ব্যাপারে মন দেব।’’