ট্রফি হাতে জোকার। ছবি: রয়টার্স।
সেন্টার কোর্টে মহাকাব্যিক ফাইনাল জিতে চ্যাম্পিয়ন হলেন নোভাক জোকোভিচ। খেলার ফল জোকারের অনুকূলে ৭-৬, ১-৬, ৭-৬, ৪-৬, ১৩-১২।
প্রথম সেট টাইব্রেকারে জিতে নেন নোভাক। তার পরে দ্বিতীয় সেটে ফেডেরার ৬-১ দুরন্ত ভাবে ফিরে আসেন। তৃতীয় সেট জোকোভিচ জিতে নেন ৭-৬ (৭-৪)। চতুর্থ সেট আবার জেতেন ফেডেরার। পঞ্চম সেট দেখল এক অন্য লড়াই। একসময়ে ৪-২ এগিয়ে গিয়েছিলেন নোভাক। তার পরে দারুণ ভাবে প্রত্যাবর্তন ঘটে ফেডেরারের। মরিয়া লড়াই করলেন দুই সুপারস্টার। শেষ মেশ জোকারই জিতলেন। হার মানলেন ফেডেরার। খেলার শেষে ফেডেরার বলেন, ‘‘এই ম্যাচটা আমি ভুলে যেতে চাইব। দুর্দান্ত একটা ম্যাচ হল। আমি জেতার সুযোগ পেয়েছিলাম। নোভাকের কাছেও সুযোগ এসেছিল। শেষে জিতল নোভাক। আমি খুশি। তবে নোভাক গ্রেট।’’ এরকম দীর্ঘ একটা ম্যাচ খেলার পরেও যে তিনি ঠিক মতো হাঁটতে পারছেন, সেই প্রসঙ্গে মজা করে ফেডেরার বলেন, ‘‘আমি সুস্থ বোধ করছি। আমি এখন ঠিক ভাবে দাঁড়াতেও পারছি।’’
এই দুই প্রতিপক্ষ যত বারই মুখোমুখি হয়েছে, তত বারই তাঁদের র্যাকেট ঝলসে উঠেছে। এই দুই তারকার ম্যাচ জন্ম দিয়েছে টেনিস মহাকাব্যের। আজ, রবিবারের ফাইনাল বোধহয় আগের সব লড়াইকে ছাপিয়ে গেল। পঞ্চম বার উইম্বলডন জিতে বিয়র্ন বর্গকে ছুঁলেন নোভাক।
২০১৭-এর পরে ফের ফাইনালে নেমেছিলেন ফেডেরার। এ বারের টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে রাফায়েল নাদালকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ফাইনালে প্রতিটি পয়েন্টের জন্য মরিয়া লড়তে দেখা গেল ফেডেরারকে। ৩৭ বছর বয়সি ফেডেরার-এর প্রত্যাবর্তন প্রমাণ করে দেয় যে, বয়স নিতান্তই একটা সংখ্যা।