কাজে এল না বোরহার গোল। -ফাইল চিত্র
ইস্তবেঙ্গল-২, ভবানীপুর-২
(পিন্টু ৬', বোরহা ৮২') (কামো ৫৮', ওঁরাও ৮৪')
জমে উঠেছে কলকাতা লিগের লড়াই। দুই বড় দল ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের সঙ্গে লড়াই-এ রয়েছে পিয়ারলেস এবং ভবানীপুরও। সোমবার কল্যাণীতে ইস্টবেঙ্গল এবং ভবানীপুর ম্যাচ ড্র হওয়ায় এই মুহূর্তে চার দলেরই পয়েন্ট সমান (১৪ পয়েন্ট)। যদিও এক ম্যাচ কম খেলে লিগ শীর্ষে থাকা পিয়ারলেস গোল পার্থক্যে (+১০) এগিয়ে রয়েছে বাকিদের থেকে।
এ দিন দু’বার এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ড্র করল ইস্টবেঙ্গল। ছয় মিনিটের মাথায় পিন্টু মাহাতোর গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ। সেই এক গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে তারা। কিন্তু, দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই লাল-হলুদ-কে চেপে ধরে ভবানীপুর। কামোর দূরপাল্লার শটে ৫৮ মিনিটে গোল শোধ করে প্রাক্তন মোহনবাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীর দল।
আরও পড়ুন- চার টেস্টে ৭৭৪ রান! গাওস্করকে স্পর্শ করলেন স্টিভ স্মিথ
আরও পড়ুন- ঢাকায় বাংলাদেশকে বধ করে বিশ্বরেকর্ড করল আফগানিস্তান
খেলা যত গড়ায়, ততই দুই দল মরিয়া হয়ে ওঠে গোলের জন্য। কিন্তু লাল-হলুদ স্ট্রাইকার মার্কোস থেকে যান যেন নিস্প্রভই। লড়াই চালিয়ে যান হাইমে স্যান্টোস কোলাডো। তাঁর কর্নার, ফ্রি-কিক থেকে বার বার গোল মুখে পৌঁছে গেলেও শেষ কাজটা করতে ব্যর্থ হন আক্রমণ ভাগের ফুটবলাররা। খেলার একদম শেষ পর্যায়ে ৮২ মিনিটের মাথায় সেই কোলাডোর ফ্রি-কিকে মাথা ছুঁইয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন বোরহা। কিন্তু সেই আনন্দ বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি লাল-হলুদ গ্যালারিতে।
৮৪ মিনিটে ভবানীপুরের হয়ে সেই গোল শোধ করে দেন জগন্নাথ ওঁরাও। শেষে রেফারি পাঁচ মিনিট ইনজুরি টাইম দিলেও কোনও দলই গোল করতে পারেনি। এর ফলে জমে গেল লিগ। একটু এগিয়ে থাকা পিয়ারলেসের দিকে তাকিয়ে থাকবে বাকি তিন দল। ক্রোমারা পয়েন্ট নষ্ট করলে তবেই বাকিদের কাছে সুযোগ থাকবে লিগ জেতার।