football

কোলাডো-বিদ্যাসাগরের গোলে আর্মিকে হারাল ইস্টবেঙ্গল

প্রথমার্ধ গোলশূন্য ভাবে শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধে দুটো গোল করে ম্যাচ জেতে ইস্টবেঙ্গল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৯ ১৭:১৬
Share:

গোলের পর হাইমে কোলাডোকে ঘিরে সতীর্থদের উচ্ছ্বাস। ছবি— নিজস্ব চিত্র

ইস্টবেঙ্গল — ২ আর্মি রেড —০

Advertisement

(হাইমে, বিদ্যাসাগর)

উৎসবের রং লাল-হলুদ। ৮৫ মিনিটে হাইমে কোলাডোর ফ্রি কিকটা আর্মি রেডের জালে জড়াতেই গ্যালারিতে উড়ল লাল-হলুদ পতাকা। বাঁধনহারা হল সমর্থকদের আবেগ। এত ক্ষণ ধরে এই গোলেরই তো অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা। অবশেষে স্প্যানিশ ফুটবলারের পা থেকে বেরোল বুলেট। যার কোনও উত্তরই ছিল না আর্মি গোলরক্ষকের। বল রামধনুর মতো বেঁকে তেকাঠিতে আশ্রয় নিল। এরকম একটা গোল দেখার জন্যই তো হাজার মাইল হেঁটে মাঠে আসা যায়। হাইমে একদিকে স্বস্তি দিলেন সমর্থকদের। অন্য দিকে, শতবর্ষের উৎসবকে আরও জমকালো করে দিলেন।

Advertisement

গত মরসুমে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ম্য়াচ দিয়ে ইস্টবঙ্গলে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন হাইমে। প্রথম ম্যাচেই নজর কেড়েছিলেন তিনি। চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে দুরন্ত ভলি থেকে করা গোল এখনও চোখ বন্ধ করলে দেখতে পান ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। জবি জাস্টিনের সঙ্গে জুটি বেঁধে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সবুজ-মেরুনকে মাটি ধরিয়েছিলেন তিনি। এই মরসুমে জবিকে আর পাশে পাবেন না হাইমে। দলে বেশ কয়েকজন নতুন মুখ। তাঁদের সঙ্গেই নতুন করে জুটি বাঁধবেন তিনি। ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচেই সেই ইঙ্গিত দিলেন হাইমে। তাঁকে ঘিরে স্বপ্ন দেখতেই পারেন ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা।

হাইমের গোল যদি সমর্থকদের স্বস্তি এনে দেয়, তা হলে খেলা ভাঙার আগে বিদ্যাসাগরের গোল লাল-হলুদ রংকে আরও উজ্জ্বল করল। ডান দিক থেকে গড়ানে সেন্টার রেখেছিলেন সামাদ। বিদ্যাসাগরের ছোট টোকায় আলেয়ান্দ্রোর দল ব্যবধান বাড়িয়ে নিল।

আরও পড়ুন: জোড়া গোলে নায়ক চামোরো

আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলের ১০০ বছরে ১০০ চারা গাছ পুঁতল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যান গ্রুপ​

বৃষ্টি ভেজা ইস্টবেঙ্গল মাঠ শনিবার ছিল পরিপূর্ণ। শতবর্ষের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। সমর্থকরা আবেগে ভাসছেন। চলতি মাসের ১১ তারিখ শহরে এসে পড়ছেন মজিদ বাসকর। ১৩ তারিখ ক্লাবের অনুষ্ঠান। তার আগে ডুরান্ড দিয়ে মরসুম শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ আর্মি রেড অচেনা-অজানা। অজানা প্রতিপক্ষ সব সময়েই কঠিন। তাও আবার কোনও টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে। প্রথমার্ধেই ইস্টবেঙ্গল একাধিক গোলে এগিয়ে যেতে পারত। হাইমের ফ্রি কিক আর্মির পোস্টে আছড়ে পড়ে। বোইথাংয়ের শট বারে লাগে। গোললাইন থেকে বল বাঁচান আর্মির ফুটবলাররা। প্রিয় দল গোল না পাওয়ায় সমর্থকদের উৎকণ্ঠা বাড়ছিল।

৮২ মিনিটে নাটকীয় পরিস্থিতি। আর্মির গোলকিপার শানুস গোল ছেড়ে বেরিয়ে এসে ফাউল করে বসেন বিদ্যাসাগরকে। লাল কার্ড বের করেন রেফারি। ১০ জনে নেমে যায় আর্মি। ফ্রি কিক থেকে হাইমের জাদু। কোনও দল ১০ জনে নেমে গেলে প্রতিপক্ষ নিউমেরিক্যাল অ্যাডভান্টেজের সুবিধা নেয়। শেষের কয়েক মিনিটে আক্রমণের ঝড় তোলে ইস্টবেঙ্গল। নব্বই মিনিটে সেই আক্রমণ থেকেই গোল করেন বিদ্যাসাগর। মরসুমের প্রথম ম্যাচ। দল গুছিয়ে নেওয়ার আরও সময় পাবেন আলেয়ান্দ্রো। শতবর্ষের বছরে দলগঠন নিয়ে সমর্থকদের মনে ক্ষোভ রয়েছে। আলেয়ান্দ্রোর দল কি শতবর্ষের বছরে সমর্থকদের খুশি করতে পারবেন? উত্তর আপাতত সময়ের গর্ভে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement