লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে উচ্ছ্বসিত ঈশান পোড়েল। সোমবার ইডেনে। ছবি: পিটিআই।
চতুর্থ ইনিংসে জেতার জন্য কর্নাটকের দরকার ৩৫২ রান। কিন্তু সেই রান তাড়া করতে নেমে রঞ্জি সেমিফাইনালের তৃতীয় দিনের শেষে তিন উইকেটে উঠেছে ৯৮। এখনও জেতার জন্য ২৫৪ রান দরকার কর্নাটকের। আর ফাইনালে উঠতে বাংলার চাই সাত উইকেট। যা পরিস্থিতি, তাতে রঞ্জি ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে অ্যাডভান্টেজ অভিমন্যু ঈশ্বরনের বাংলাই।
এদিন দুপুরে রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই জোর ধাক্কা খেয়েছিল কর্নাটক। প্রথম ইনিংসের নায়ক ঈশান পোড়েলের বলে আউট হন লোকেশ রাহুল। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৭ রান যোগ করেন রবিকুমার সমর্থ ও দেবদূত পাদিকাল। জুটি ভাঙেন আকাশ দীপ। সমর্থকে (২৭) এলবিডব্লিউ করেন তিনি। রিভিউ নিয়ে সফল হয় বাংলা। কর্নাটকের তৃতীয় উইকেট পড়ে ৭৬ রানে। অধিনায়ক করুণ নায়ারকে (৬) এলবিডব্লিউ করেন মুকেশ কুমার। তৃতীয় দিনের শেষে অপরাজিত রয়েছেন তিনে নামা দেবদূত পাদিকাল (৫০) ও পাঁচে নামা মণীশ পাণ্ডে (১১)। দু’জনে চতুর্থ উইকেটে যোগ করেছেন ২২ রান। বাংলার হয়ে উইকেট ভাগ করে নেন ঈশান পোড়েল, আকাশ দীপ, মুকেশ কুমার।
তার আগে, সোমবার ইডেন গার্ডেন্সে কর্নাটকের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফি সেমিফাইনালের তৃতীয় দিনে বাংলার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৬১ রানে। এ দিন সকালে চার উইকেটে ৭২ রান নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে শুরু করেছিল বাংলা। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (৪৫) ফেরেন প্রথমে। প্রথম বলেই ফেরেন শ্রীবৎস গোস্বামী (০)। পর পর দু’বলে সুদীপ-শ্রীবৎসকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন রনিত মোরে। কিন্তু তা হয়নি।
আরও পড়ুন: টেস্ট হেরে সাংবাদিকের প্রশ্নে মেজাজ হারালেন বিরাট
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে হোয়াইটওয়াশ, তীব্র ধিক্কার সোশ্যাল মিডিয়ায়
এর পর সপ্তম উইকেটে ৬১ রান যোগ করেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও শাহবাজ আহমেদ। এই জুটিই বাংলার লিডকে তিনশোর ওপারে নিয়ে যায়। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন শাহবাজ (৩১)। কিন্তু শাহবাজ ফেরার পরই নামে ধস। ১১ রানের মধ্যে পড়ে শেষ চার উইকেট। অনুষ্টুপ মজুমদার ফেরেন ৪১ রানে। আকাশ দীপ (১), ঈশান পোড়েল (০) ফেরেন পর পর। অপরাজিত থাকেন মুকেশ কুমার (৬)। কর্নাটকের সফলতম বোলার অভিমন্যু মিঠুন (৪-২৩)। কৃষ্ণাপ্পা গৌতম (৩-১৫), রনিত মোরে (২-৫৬), প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ (১-৪৫) নেন বাকি উইকেট।
প্রথম ইনিংসে বাংলা তুলেছিল ৩১২। কর্নাটকের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছিল ১২২ রানে। ১৯০ রানের লিড পেয়েছিল অভিমন্যু ঈশ্বরনের দল। সেই লিডের জন্যই কর্নাটকের টার্গেট পৌঁছে গেল সাড়ে তিনশোর ওপারে। আর এখানেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে অনুষ্টুপের অবদান। প্রথম ইনিংসে একক লড়াইয়ে ১৪৯ করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসেও করলেন মূল্যবান ৪১। যা বাংলা শিবিরে এনেছিল স্বস্তি।
আরও পড়ুন: খারাপ ব্যাটিং না ভাগ্য বিপর্যয়, কোহালিদের হোয়াইটওয়াশের আসল কারণ কী