ছয় নম্বরে নেমে ৭৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেন শ্রীবৎস। —ফাইল চিত্র।
কার্যত রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে উঠেই গেল বাংলা। কটকে ওড়িশার বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালের চতুর্থ দিনের শেষে ৪৪৩ রানে এগিয়ে রয়েছে অভিমন্যু ঈশ্বরনের দল। দ্বিতীয় ইনিংসে সাত উইকেট হারিয়ে উঠেছে ৩৬১ রান। সোমবার ম্যাচের শেষ দিন।
রবিবার বাংলার দ্বিতীয় ইনিংসে দুই উইকেটে ৭৯ নিয়ে শুরু করেছিলেন অভিষেক রামন ও মনোজ তিওয়ারি। মনোজ (৬) ফেরেন দলীয় ৯৭ রান। প্রথম ইনিংসে ১৫৭ করা অনুষ্টুপ মজুমদারও (১০) বেশি ক্ষণ থাকেননি। ১১৫ রানের মধ্যে বাংলার চার উইকেট ফেলে দিয়ে ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করেছিল ওড়িশা। কিন্তু তখনই প্রতিরোধ গড়েন অভিষেক রামন ও শ্রীবৎস গোস্বামী। ওড়িশার রাস্তায় বাধা হয়ে ওঠেন দু’জনে।
আরও পড়ুন: ফের ব্যর্থ বিরাট-পূজারা, ওয়েলিংটনে অ্যাডভান্টেজ নিউজিল্যান্ড
আরও পড়ুন: বোল্টদের বলে বার বার বিপর্যস্ত, ব্যাটিংয়ে খারাপ ফর্মের সঙ্গে সমালোচিত কোহালির নেতৃত্বও
অভিষেক রামন ও শ্রীবৎস গোস্বামীর পঞ্চম উইকেটের জুটি ম্যাচের দখল নিয়ে নেয় ধীরে ধীরে। দু’জনে যোগ করেন ১০২ রান। তিন নম্বরে নামা অভিষেক রামন করেন ৬৭। যাতে ছিল আটটি চার। ২১৭ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে বাংলার। ২৭৩ রানে পড়ে ষষ্ঠ উইকেট। ১৩৪ বলে আক্রমণাত্মক ৭৮ করে ফেরেন শ্রীবৎস। তাঁর ইনিংসে ছিল ১১টি বাউন্ডারি।
এর পর জুটি বাঁধেন শাহবাজ আহমেদ ও অর্ণব নন্দী। তাঁদের সপ্তম উইকেটের জুটিতে যোগ হয় ৭৮ রান।৩৫১ রানে পড়ে বাংলার সপ্তম উইকেট। ৭৫ বলে ৪৫ করে ফিরলেন অর্ণব। তাঁর ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও একটি ছয়। দিনের শেষে বাংলার রান সাত উইকেটে ৩৬১। প্রথম ইনিংসের মতোই ব্যাট হাতে বিক্রম দেখালেন শাহবাজ। ৫২ রানে অপরাজিত তিনি। তাঁর ইনিংসে রয়েছে তিনটি চার ও একটি ছয়। শাহবাজের সঙ্গী মুকেশ কুমার (অপরাজিত ৩)। ওড়িশার সফলতম বোলার গোবিন্দ পোদ্দার (৩-৯৫)।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলা প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৩৩২ রান। জবাবে ওড়িশার প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৫০ রানে। ৮২ রানের লিড পেয়েছিল বাংলা। সেটাই এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪৩ রানে।
আরও পড়ুন: দুই ইনিংসেই ব্যর্থ, পৃথ্বীর জায়গায় শুভমনকে দলে নেওয়ার দাবি
আরও পড়ুন: হটস্পট বলল নট আউট, স্রেফ স্নিকোমিটারের ভরসাতে আউট ময়াঙ্ক! বিতর্ক তুঙ্গে