জয়ের দুই কারিগত। উমেশ ও শামি। রাঁচীতে মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।
মঙ্গলবার সকালে দুই ওভারও টিকল লা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিরোধ। ফলো অনের পরে ১৩৩ রানে থেমে গেল প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংস। দিনের দ্বিতীয় ওভারে পর পর দুই বলে থেউনিস দি ব্রুইন ও লুনগি এনগিডি ফিরতেই দাঁড়ি পড়ল ইনিংসে। কার্যত কোনও লড়াই হলই না। শেষ দুই উইকেটই নিলেন শাহবাজ নাদিম। এর মধ্যে দি ব্রুইনের ক্যাচ অসামান্য দক্ষতায় ধরলেন উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা। আর এনগিডি ফিরলেন অদ্ভুত ভাবে। তাঁর শট নন-স্ট্রাইকারের বাঁ কব্জিতে লেগে গেল বোলারের হাতে!
রাঁচীতে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট ইনিংস ও ২০২ রানে জিতল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এটাই সবচেয়ে বড় দল টিম ইন্ডিয়ার। এর আগে বিশাখাপত্তনমে প্রথম টেস্ট ২০৩ রানে জিতেছিল বিরাট কোহালির দল। পুণেয় দ্বিতীয় টেস্ট ইনিংস ও ১৩৭ রানে জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। আর মহেন্দ্র সিংহ ধোনির শহরে জয় এল আরও বড় ব্যবধানে। ৩-০ হোয়াইটওয়াশ করাতেই পরিষ্কার, এই সিরিজে ফাফ দু’ প্লেসির দলকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করেছে ভারত।
এই জয়ের ফলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও অনেক এগিয়ে গেল ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজে ১২০ পয়েন্ট মিলেছিল। এই সিরিজেও মিলল ১২০ পয়েন্ট। টানা পাঁচ টেস্ট জিতে ২৪০ পয়েন্ট নিয়ে ভারত এখন সবার উপরে। একইসঙ্গে ঘরের মাঠে বিরাট কোহালির নেতৃত্বে এটা ভারতের টানা ১১তম টেস্ট সিরিজ জয়।
আরও পড়ুন: ১১ দাবি শাকিবদের, না মানলে ধর্মঘটের ডাক, অনিশ্চিত ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক সেই ঢাকা টেস্টের দুই দলকে আমন্ত্রণ জানাবেন সৌরভ
জয়ের মুহূর্তে নাদিমকে ঘিরে উচ্ছ্বাস কোহালিদের। ছবি: পিটিআই।
রাঁচীতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মার ডাবল সেঞ্চুরি ও অজিঙ্ক রাহানের সেঞ্চুরির সুবাদে ৪৯৭ রানে ডিক্লেয়ার করেছিল ভারত। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৬২ রানে। ফলো অনের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরু থেকে সমস্যায় পড়ে সফরকারী দল। সোমবার তৃতীয় দিনের শেষে আট উইকেটে ১৩২ রান তুলেছিল তারা। টেস্টের চতুর্থ দিন দক্ষিণ আফ্রিকা কতক্ষণ লড়াই চালাতে পারবে, তা নিয়েই ছিল আগ্রহ। দেখা গেল, ১০ মিনিটও টিকল না তাদের দ্বিতীয় ইনিংস। লজ্জাজনক ভাবে ইনিংস ও ২০২ রানে হারতে হল প্রোটিয়াদের। এই টেস্টের সেরা হলেন রোহিত শর্মা। সিরিজের সেরাও হলেন তিনি।