বিধ্বংসী ট্রেন্ট বোল্ট। ক্রাইস্টচার্চে রবিবার তিনি নিলেন তিন উইকেট। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
মহম্মদ শামি-যশপ্রীত বুমরা ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে লড়াইয়ে ফিরিয়েছিলেন ভারতকে। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ফের ব্যর্থতায় সেই লড়াই দাম পেল না। উল্টে, এখন হোয়াইটওয়াশের খাঁড়া ঝুলছে ভারতের উপর।
সকালে শামি-বুমরার দাপটে ২৩৫ রানে শেষ হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। শামি ৮১ রানে নিয়েছিলেন চার উইকেট। ৬২ রানে তিন উইকেট নিয়েছিলেন বুমরা। ফলে, সাত রানের লিড পেয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। লিডের চেয়েও অবশ্য বেশি এসেছিল আত্মবিশ্বাস। কিন্তু তা ব্যাটিংয়ে প্রতিফলিত হল না।দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৯০ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে এখন চাপে ভারতই। দ্বিতীয় দিনের শেষে লিড মাত্র ৯৭ রান। হাতে রয়েছে চার উইকেট।
হ্যাগলি ওভালে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম দিনে ২৪২ রানে থেমে গিয়েছিল ভারতের ইনিংস। রবিবার সকালে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বিনা উইকেটে ৬৩ নিয়ে শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথম সেশনে দ্রুত উইকেট নেওয়া সেই কারণেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর ঠিক সেটাই করে দেখিয়েছিলেন পেসাররা।
সকালের দু’ঘন্টায় এসেছিল পাঁচ উইকেট। কিউয়িরা যোগ করেছিল মাত্র ৭৯ রান। পর পর আউট হয়েছিলেন টম ব্লান্ডেল (৩০), অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (৩), রস টেলর (১৫), টম লাথাম (৫২), হেনরি নিকলস (১৪)। শনিবার শেষ সেশনে ২৩ ওভার বল করেও উইকেট পাননি বোলাররা। এ দিন কিন্তু নিঁখুত নিশানায় তাঁরা বল করে গেলেন একটানা। লাঞ্চের সময় হাতে পাঁচ উইকেট নিয়ে ১৪২ তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। তখনও ভারতের লিড ছিল ১০০ রান।
আরও পড়ুন: ওয়্যাগনারকে ফেরানো জাডেজার এই অবিশ্বাস্য ক্যাচ কি সর্বকালের সেরা?
আরও পড়ুন: ফের ব্যর্থ ‘প্রতিভাবান’ ঋষভ, আর কতদিন বোঝা বইবে দল, প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়
কাইল জেমিসনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সেটাই শেষ পর্যন্ত কমে দাঁড়িয়েছিল সাত রানে। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছিল ২৩৫ রানে। এর মধ্যে জেমিসনই করলেন ৪৯। যাতে ছিল সাতটি বাউন্ডারি। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম (২৬), নীল ওয়্যাগনাররা (২১) প্রথম টেস্টের মতোই হতাশ করেছিলেন ভারতকে। ১৫৩ রানে সাত উইকেট পড়ার পর শেষ তিন উইকেটে যোগ হয়েছিল ৮২ রান। শামি-বুমরা ছাড়া উইকেট পেয়েছিলেন রবীন্দ্র জাডেজা (২-২২) ও উমেশ যাদব (১-৪৬)। জাডেজা অবশ্য উইকেট নেওয়া ছাড়াও নিয়েছিলেন দুটো অনবদ্য ক্যাচ। এর মধ্যে ওয়্যাগনারের ক্যাচ রীতিমতো অবিশ্বাস্য।
তবে লিড পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ফের চাপে পড়ে গেল ভারত। দুই ওপেনার ময়াঙ্ক (৩) ও পৃথ্বী (১৪)-কে আউট করেন ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদি। এর পর বিরাট কোহালিকে ((১৪) এলবিডব্লিউ করেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। ফিরে গিয়েছেন অজিঙ্ক রাহানে (৯), চেতেশ্বর পূজারা (২৪), নৈশপ্রহরী উমেশ যাদবও (১)। দিনের শেষে ছয় উইকেটে ৯০ তুলেছে ভারত। ট্রেন্ট বোল্টই (৩-১২) নিউজিল্যান্ডের সফলতম বোলার।