এই সেই ক্যাচ গাপ্টিলের। ছবি— টুইটার থেকে।
মার্টিন গাপ্টিল মানেই দুরন্ত ফিল্ডিং। ম্যাঞ্চেস্টারে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দুরন্ত থ্রোয়ে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির উইকেট ভেঙে দিয়েছিলেন। শুক্রবার অকল্যান্ডে শরীর ছুড়ে কোহালির ক্যাচ তালুবন্দি করেন গাপ্টিল। বিশ্বকাপে শেষ চারের লড়াইয়ে ধোনি ফিরতেই স্বপ্ন ভাঙে ভারতের। এ দিন অবশ্য প্রথম টি টোয়েন্টি ম্যাচ জিততে সমস্যা হয়নি ভারতের।
বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে কিউয়িদের রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই একাধিক উইকেট হারিয়ে সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল ভারত। ধোনি ও রবীন্দ্র জাদেজা ভারতকে জয়ের রাস্তায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। ৪৮.৩ ওভারে গাপ্টিলের ছোড়া বল ধোনির স্টাম্প ভেঙে দেয়। মাহি ফিরে যাওয়ায় ভারতও আর ফাইনালে পৌঁছতে পারেনি। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক পরে বলেছিলেন, সে দিন যদি ডাইভ দিতাম, তা হলে হয়তো রান আউট হতে হত না। ধোনিকে অবশ্য ডাইভ দিয়ে ক্রিজে ঢুকতে দেখা যায়নি বেশি। কোনটা রান হবে আর কোনটা হবে না, সেটা ধোনির থেকে ভাল কেউ বোঝেন না। কিন্তু সেমিফাইনাল ছিল ব্যতিক্রমী একটা দিন।
শুক্রবার অকল্যান্ডের প্রথম টি টোয়েন্টিতে পাখির মতো শরীর ছুড়ে কোহালিকে তালুবন্দি করেন গাপ্টিল। ভারত অধিনায়ক ফিরে যাওয়ার পরেও ম্যাচ জিততে সমস্যায় পড়তে হয়নি ভারতকে। শ্রেয়াস আইয়ার ও মণীষ পাণ্ডে অপরাজিত থেকে ম্যাচ বের করে আনেন। কিউয়িদের রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে ফেরেন রোহিত শর্মা। ‘হিটম্যান’-এর উইকেট যাওয়ার পরে কোহালি ও লোকেশ রাহুল ভারতের ইনিংস গড়ছিলেন। দুর্দান্ত টাইমিং করছিলেন রাহুল।
আরও পড়ুন: ছয় মেরে জেতালেন শ্রেয়াস, অকল্যান্ডে ছয় উইকেটে নিউজিল্যান্ডকে হারাল ভারত
একটা ফ্লিকে ছক্কা হাঁকানোর পরে কোহালি উচ্ছ্বসিত হয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানান। ব্যক্তিগত ৫৬ রানে ফেরেন রাহুল। রাহুল ফিরে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই কোহালি আউট হন। টিকনারের বলটা ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেননি ভারত অধিনায়ক। ক্যাচ ধরার জন্য গাপ্টিল দ্রুত বলের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন। শেষ মুহূর্তে তিনি দেখেন বলের কাছে পৌঁছতে পারবেন না। তখন কিউয়ি ক্রিকেটার তাঁর শরীর ছুড়ে দেন ক্যাচ ধরার জন্য।
বল মাটিতে পড়ার ঠিক আগে তালুবন্দি করেন গাপ্টিল। কোহালির ক্যাচ ধরে গাপ্টিল মুহূর্তেই ফিরিয়ে এনেছিলেন ধোনিকে রান আউট করার স্মৃতি। ক্রিকেটভক্তরা বলছিলেন, ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ হলেই অবিশ্বাস্য ফিল্ডিং করেন গাপ্টিল।