এখনও পড়ে বড় ম্যাচের কিছু টিকিট

ম্যাচের আগের দিনও টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে উঠল না। তাতে আজ, রবিবার ম্যাচের দিন কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম ভরাতে টিকিট চেনা পরিচিতদের বিলি করতে হয় কি না সেটাই ভাবতে শুরু করেছেন শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৭ ০২:০৪
Share:

সমর্থক: দুই দলের জার্সিই বিক্রি হচ্ছে পুরোদমে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

ম্যাচের আগের দিনও টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে উঠল না। তাতে আজ, রবিবার ম্যাচের দিন কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম ভরাতে টিকিট চেনা পরিচিতদের বিলি করতে হয় কি না সেটাই ভাবতে শুরু করেছেন শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা।

Advertisement

হিসাব বলছে, শনিবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের কাউন্টার থেকে সারা দিনে আড়াই হাজারের মতো টিকিট বিক্রি হয়েছে। তাতে সব মিলিয়ে ২৭ হাজার দর্শকাসনের অর্ধেক টিকিটও বিক্রি হয়নি এদিন পর্যন্ত। ক্রীড়া পরিষদের একটি সূত্রই জানিয়েছে, মোটের উপর বিক্রি হয়েছে সাড়ে ১০ হাজারের মতো টিকিট। ম্যাচের দিন টিকিট বিক্রির চাহিদা তুঙ্গে উঠলেও বাকি সব টিকিট বিক্রি হয়ে যাবে এমনটা অসম্ভব ব্যাপার বলেই মনে করছেন ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের একাংশই।

তাঁদের ধারণা ম্যাচের দিন বেশি হলেও ছয় থেকে সাত হাজারের মতো টিকিট বিক্রি হবে। তাতেও গ্যালারি একাংশ ফাঁকা পড়ে থাকবে। সে কারণে ইতিমধ্যেই ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা নিজেদের চেনা পরিচিতদের মধ্যে কিছু টিকিট এ দিন বিলি করার কথা সদস্যদের জানিয়েছেন।

Advertisement

ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ জানান, এদিন সাড়ে তিন লক্ষ টাকার মতো টিকিট কাটতি হয়েছে। তাতে বিক্রি হয়েছে আড়াই থেকে তিন হাজারের মতো টিকিট। তিনি বলেন, ‘‘রবিবার ম্যাচের দিন ভাল টিকিট বিক্রি হবে বলেই আমরা আশাবাদী। ম্যাচের দিন প্রচুর টিকিট বিক্রি হয় তা অতীতেও আমরা দেখেছি। তবে স্টেডিয়াম ফাঁকা থাকবে না। ক্রীড়া পরিষদের অনুমোদিত ক্লাব, চেনা পরিচিতদের মধ্যে কিছু টিকিট বিলি করার কথাও ভাবা হয়েছে।’’

এ দিনও কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের কাউন্টারে ভিড় দেখা যায়নি। দু-এক জন করে এসে টিকিট কেটেছেন। গত বছর যেখানে লাইনে ভিড় করে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে দেখা গিয়েছে উৎসাহীদের, এ বার ডার্বিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম মোহনবাগানের হোম গ্রাউন্ড। সেই মতো মূল সংগঠক তাঁরাই। তবে তাদের তরফে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃপক্ষকে। বদলে ১৫ লক্ষ টাকা তাঁরা মোহনবাগান ক্লাবকে দিচ্ছে। টিকিট বিক্রি থেকে লাভক্ষতি যাই হোক না কেন সেটা ক্রীড়া পরিষদের। সে কারণে মোহনবাগান ক্লাব টিকিট বিক্রির ব্যাপারে উদাসীন বলে অভিযোগ ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের।

তা ছাড়া মোহনবাগান গ্যালারির ১০ হাজার টিকিটের মধ্যে নামমাত্র বিক্রি হয়েছে। ক্রীড়া পরিষদের সচিবের কথায়, আগের ডার্বিতে কাউন্টার থেকে কোনও ব্যক্তি একবার লাইনে দাঁড়িয়ে দুই টিকিট পেতেন। এবার যত খুশি টিকিট কিনতে পারবেন বলে জানানো হয়েছিল। তাতে ভিড় কিছুটা কম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement