Coronavirus

দুবাইয়ে ধোনির দলে করোনার হানা

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বা সিএসকের পক্ষ থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত  নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি, কত জন আক্রান্ত হয়েছেন বা কারা কারা সংক্রমিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২০ ০৬:১৭
Share:

আইপিএল শুরুর আগেই করোনার ধাক্কায় কেঁপে উঠল ক্রিকেট! দুবাই পৌঁছে যাওয়া মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের একাধিক সদস্য কোভিড-১৯ আক্রান্ত।

Advertisement

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বা সিএসকের পক্ষ থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি, কত জন আক্রান্ত হয়েছেন বা কারা কারা সংক্রমিত। তবে দুবাইয়ে ফোন করে জানা গেল, আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন এক ভারতীয় মিডিয়াম পেসার। হালফিলে যিনি ভারতের হয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে খেলেছেন। কোচ, সহকারী কোচ, অন্যান্য সদস্য মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত দশ।

সিএসকে সূত্রের খবর, প্রত্যেকের দ্বিতীয় পরীক্ষার ফলের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। শনিবারের মধ্যে যা হাতে আসার কথা। দ্বিতীয় ফলও পজিটিভ এলে নাম প্রকাশ করে হবে। দুবাই এবং আবু ধাবিতে প্রত্যেকটি দল আলাদা হোটেলে অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকছে। এর পাশাপাশি নিভৃতবাসের জন্য আলাদা হোটেল ঠিক করা হয়েছে। আক্রান্তদের দ্রুত সেখানে সরানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: নজরে চেন্নাইয়ের শিবির, যাত্রাপথে উদাসীন মনোভাব

আইপিএল শুরু হওয়ার কথা ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে এবং উদ্বোধনী ম্যাচেই চেন্নাইয়ের খেলার কথা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে। বোর্ড যদিও এখনও সূচি ঘোষণা করেনি এবং কোনও সন্দেহ নেই, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আরওই দেরি হতে পারে তা চূড়ান্ত করতে। একটি দলের এত বেশি সংখ্যক সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ায় প্রতিযোগিতার ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা হলেও প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।

তবে রাত পর্যন্ত যা ইঙ্গিত, এখনই তাঁবু গুটিয়ে ফিরে আসার কথা ভাবা হচ্ছে না। বরং এ দিনই বিরাট কোহালিরা ছ’দিনের নিভৃতবাস পর্ব শেষ করে নেমে পড়েছেন অনুশীলনে। তবে ধোনিরা কেউ এখনই অনুশীলনে নামতে পারবেন না। গোটা দল নিয়েই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে কারণ চার্টার্ড ফ্লাইটে করে সিএসকের সব সদস্য একসঙ্গে দুবাইয়ে গিয়েছেন। আক্রান্তরা দলের সকলেরই সংস্পর্শে এসে থাকলেও অবাক হওয়ার নেই।

আরও পড়ুন: ব্যালকনিতে কফি হাতেই ঋদ্ধিদের সঙ্গে চলে আড্ডা

আরও উদ্বেগের কথা হচ্ছে, সিএসকে দুবাই রওনা হওয়ার আগে চেন্নাইয়ে প্রস্তুতি শিবির করেছিল। সেখানে করোনা আক্রান্ত এই মিডিয়াম পেসার ছিলেন। ধোনি, সুরেশ রায়না-সহ সিএসকের প্রায় সব ভারতীয় ক্রিকেটারও ছিলেন। এই শিবিরে যোগ দিয়েই অবসরের কথা ঘোষণা করেন ধোনি। প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে, এই শিবির থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে থাকলেও থাকতে পারে।

কেউ কেউ শিবিরের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। বেশির ভাগ দলই আমিরশাহিতে গিয়ে ছ’দিনের নিভৃতবাস পর্ব সেরে তবেই অনুশীলনে নামছে। ধোনিরা তা না করে নিজেদের উদ্যোগে চেন্নাইয়ে শিবিরে খুব খোলামেলা ভাবে অনুশীলন করেন।

উড়ানের মধ্যে বা বিমানবন্দরের লাউঞ্জে সুরক্ষা-বিধি সম্পূর্ণ ভাবে তাঁরা মেনেছিলেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। কয়েকটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, উড়ানের মধ্যে বা বিমাবনবন্দরের লাউঞ্জে দলের অনেক সদস্য ‘মাস্ক’ পর্যন্ত পরেননি।

দুবাই থেকে যদিও সিএসকে ম্যানেজমেন্টের এক জন ফোনে দাবি করলেন, ‘‘চেন্নাইয়ের শিবিরে সকলের দু’বার পরীক্ষা করানো হয়েছিল। দু’বারই সকলের পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছিল। তার পরেই দুবাইয়ের উড়ানে সকলকে তোলা হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement