সেরা: শ্যুটিং বিশ্বকাপে সোনার পদক নিয়ে ওম প্রকাশ ও মানু। ছবি: পিটিআই
মাত্র ১৬ বছর বয়সেই শ্যুটিং বিশ্বকাপে হইচই ফেলে দিল ভারতের মানু ভাকের। টানা দু’দিনে দু’টো সোনা জিতে। সোমবার এয়ার পিস্তলে সোনা জেতার পরে মঙ্গলবার মিক্সড টিম ইভেন্টে দ্বিতীয় সোনা পায় মানু।
ওম প্রকাশ মিথারভালের সঙ্গে জুটিতে ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে চ্যাম্পিয়ন হন তাঁরা। সিনিয়র বিভাগে বিশ্বকাপে অভিষেকে আগের দিন মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে ব্যক্তিগত বিভাগে সোনা পেয়েছিল মানু। ভারতীয় শ্যুটারদের মধ্যে মানুই হয়তো কনিষ্ঠতম শ্যুটার হিসেবে সিনিয়র বিশ্বকাপে সোনা জিতল। যদিও জাতীয় শ্যুটিং সংস্থা এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি।
এ ছাড়া ভারতকে আরও একটি পদক এনে দিল বাংলার মেহুলি ঘোষ। এ বার ১০ মিটার এয়ার রাইফেল মিক্সড টিম ইভেন্টে। দীপক কুমারের সঙ্গে জুটিতে মেহুলিরা পায় ব্রোঞ্জ। তবে সবচেয়ে বেশি হইচই হচ্ছে মানুর কৃতিত্ব নিয়েই।
হরিয়ানার মেয়ে মাত্র দু’বছর হল শ্যুটিংয়ে এসেছে। তাতেই বিশ্ব মঞ্চে এ ভাবে দাপট দেখল সে। কী ভাবে এত চাপ সামলে দুটো সোনা জিতল মানু? মেক্সিকো থেকে সংবাদসংস্থাকে মানু বলেছে, ‘‘সোনা জেতা নিয়ে আমি বেশি কিছু ভাবিনি। একটা সময় তো রেকর্ডের কথাও জানতাম না। আমার কোচেরা যে ভাবে পরামর্শ দিয়েছেন এবং আমার টেকনিক ঠিক করতে পরিশ্রম করেছেন তার জন্য আমি তাঁদের কাছে কৃতঞ্জ।’’
গত ডিসেম্বরে জাতীয় শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে মানু ১০ মিটার এয়ার পিস্তল বিভাগে জিতেছিল। তাও দেশের অভিজ্ঞ শ্যুটিং তারকা হিনা সিধুকে হারিয়ে। হিনার দীর্ঘদিনের জাতীয় রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছিল মানু। এই টুর্নামেন্টে সব মিলিয়ে ১৫টা পদক জিতেছিল মানু। যার মধ্যে ৯টা সোনা ছিল। সেই দুরন্ত ফর্ম ধরে রেখে এ ভাবে যে জোড়া সোনা জিতবে মানু নিজেও তা ভাবেনি। ‘‘অবিশ্বাস্য লাগছে। সিনিয়র বিশ্বকাপে দুটো সোনা জিতব কখনও ভাবিনি,’’ বলে মানু। সঙ্গে যোগ করে, ‘‘ব্যক্তিগত বিভাগে নামার সময় আমি একটু চাপে ছিলাম। ১৭ নম্বর শটে আমি ৮.৪ পয়েন্ট স্কোর করেছিলাম। ১৯ নম্বর শটে করি ৮.১। তাই খুব অস্বস্তি হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সব সামলে নিয়েছি।’’ সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে ভারত সাতটি পদক নিয়ে শীর্ষে। তার মধ্যে তিনটি সোনা এবং চারটি ব্রোঞ্জ।