ব্যর্থ: কুলবন্ত খেজরোলিয়ার বলে বোল্ড বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। সোমবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
দিল্লির বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে পড়ে আম্পায়ারকেই দুষছেন বাংলার মেন্টর অরুণ লাল ও অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। তাঁদের দাবি, দ্রুত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ‘ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম’ (ডিআরএস) চালু করা হোক।
বাংলার ব্যাটিংয়ের সময়ে তিনটি আউট নিয়ে বিতর্ক দেখা গিয়েছে। প্রথমটি অভিমন্যু ঈশ্বরনের। দ্বিতীয়টি ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়ের ও তৃতীয়টি আমির গনির। তিনজনই আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছেন, অভিযোগ বাংলার ক্রিকেটারদের। দিনের শেষে বাংলা অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘‘আমরা খারাপ ব্যাট করেছি ঠিকই। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে যেগুলো মানা যায় না। আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো রঞ্জি ট্রফিতেও ডিআরএস-এর ব্যবস্থা করা হোক।’’
অধিনায়কের সঙ্গে একমত মেন্টরও। অরুণ লাল বলেন, ‘‘মোট ছ’টি সিদ্ধান্ত আমাদের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে। ব্যাটিংয়ের সময়ে তিনটি, বোলিংয়ের সময়ে তিনটি। এ ধরনের আম্পায়ারিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো উচিত।’’ কিন্তু তা শুধরানোর উপায় কি? অরুণের উত্তর, ‘‘অবশ্যই ডিআরএস চালু করা উচিত। না হলে ভুল সিদ্ধান্ত তো হতেই থাকবে। কিন্তু এত খরচসাপেক্ষ প্রযুক্তি ঘরোয়া ক্রিকেটে আনা হবে কি না জানি না।’’
ভুল সিদ্ধান্তের পাশাপাশি আরও একটি সমস্যার কথা তুলে ধরেন অরুণ। তা হল ব্যাটসম্যানদের ভয়। ‘‘প্রত্যেক ম্যাচে দেখা যাচ্ছে, আমাদের ছেলেরা ভয় পেয়ে আউট হচ্ছে। ব্যাট করতে নেমে পা কাঁপছে। অথচ এই দলেই অশোক ডিন্ডা রয়েছে। প্রত্যেক দিন তার সঙ্গে ড্রেসিংরুম ব্যবহার করছে ছেলেরা। তাকে দেখছে। অথচ কেউ ওর মতো সাহসী আচরণ দেখাতে পারছে না। বোলিংয়ের সময়েও একই জিনিস দেখা যাচ্ছে। ডিন্ডাই গোটা দলকে তাতিয়ে রাখছে। বাকিরা চুপ। এ ভাবে কোনও ম্যাচ জেতা যায়!’’
প্রতিবাদ করে জিতল সেন্ট জেমস: অনূর্ধ্ব-১৫ মেয়র্স কাপ ক্রিকেটে বয়স ভাঁড়িয়ে ক্রিকেটার খেলানোর শাস্তি পেল আদিত্য অ্যাকাডেমি স্কুল। শিবম রায় নামক পেসারকে সেন্ট জেমসের বিরুদ্ধে খেলিয়েছিল আদিত্য অ্যাকাডেমি। কিন্তু সেন্ট জেমস কর্তৃপক্ষ প্রমাণ-সহ সিএবি-কে জানায় যে, ছেলেটি অন্য স্কুল থেকে আইসিএসই পাশ করেছে। যা সোমবার তারা তুলে ধরে সিএবি-র সামনে। সিএবি-র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আদিত্য অ্যাকাডেমির পয়েন্ট বাতিল করে জিতিয়ে দেওয়া হয় প্রতিবাদী সেন্ট জেমস স্কুলকে। ফলে লিগ পর্যায় থেকে নক-আউট পর্যায়ে যেতে পারল না আদিত্য অ্যাকাডেমি।