অলিম্পিকের স্বপ্ন নিয়ে মণিপুরে হাফিজা-রূপসা

বাংলার দুই তায়কোয়ন্দো খেলোয়াড়ের প্রশিক্ষণ ও পড়াশোনার দায়িত্ব নিল মণিপুর সরকার। কাল, সোমবার বেঙ্গল অ্যামেচার তায়কোয়ন্দো অ্যাসোসিয়েশনের পান্ডুয়া শাখার দুই খুদে হাফিজা খাতুন ও রূপসা কর্মকারের মণিপুর পাড়ি দেওয়ার কথা রয়েছে।

Advertisement

সুশান্ত সরকার

পান্ডুয়া শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৮ ০১:৩১
Share:

প্রত্যয়ী: প্রশিক্ষণ রূপকুমার নন্দীর সঙ্গে হাফিজা-রূপসা। নিজস্ব চিত্র

বাংলার দুই তায়কোয়ন্দো খেলোয়াড়ের প্রশিক্ষণ ও পড়াশোনার দায়িত্ব নিল মণিপুর সরকার। কাল, সোমবার বেঙ্গল অ্যামেচার তায়কোয়ন্দো অ্যাসোসিয়েশনের পান্ডুয়া শাখার দুই খুদে হাফিজা খাতুন ও রূপসা কর্মকারের মণিপুর পাড়ি দেওয়ার কথা রয়েছে।

Advertisement

সংস্থার পান্ডুয়া শাখার সম্পাদক রূপকুমার নন্দী জানান, বাংলা থেকে মোট ১২৬০ জন তায়কোয়ন্দোর প্রশিক্ষণ নেয়। মণিপুরের এক স্টেডিয়ামে চলতি বছরের খেলার প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এগারো বছরের ৫৭২জন যোগ দিয়েছিল। তার মধ্যেই তায়কোয়ন্দোতে নজর কা়ড়ে হাফিজা ও রূপসা। এরপরই মণিপুর সরকারের তরফে ওই দুই খুদের আগামী সাত বছর পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণের দায়িত্ব নেওয়া হয়।

হাফিজা খাতুনের বাবা শেখ ডালিম পেশায় টোটো চালক। তাঁর কথায়, ‘‘অনেক কষ্ট করে ওকে ছোট থেকে এই প্রশিক্ষণ করাতে নিয়ে যাই। ও যদি ভবিষ্যতে দেশের মুখ রাখতে পারে, তাহলে আমার গর্বের শেষ থাকবে না।’’

Advertisement

রূপসার বাবা রতন কর্মকারও পেশায় গাড়ি চালক। তাঁর কথায়, ‘‘মেয়ে ভালো করে প্রশিক্ষণ নিয়ে অলিম্পিকে সুযোগ পাক। এর বেশি আমার আর কী চাওয়ার আছে!’’

সাত বছরের জন্য বাবা-মােক ছেড়ে যেতে হবে ভেবে মন খারাপ হাফিজা আর রূপসার। তবে প্রত্যয়ের সুর দু’জনের গলাতেই। তাদের কথায়, ‘‘প্রশিক্ষণই এখন আমাদের পাখির চোখ। আগামী দিনে অলিম্পিকে খেলে সোনা জিতবই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement