উল্লাস: টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে প্রথম গোল করে হুঙ্কার র্যাশফোর্ডের। এএফপি
নিজের পুরনো ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে গেলেন জোসে মোরিনহো। পর্তুগিজ কোচের নতুন ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার হারল ১-২। অসাধারণ খেলে জোড়া গোল করলেন মার্কাস র্যাশফোর্ড (একটি পেনাল্টি)। জোসে স্বয়ং ইংরেজ ফরোয়ার্ডের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন। সঙ্গে বললেন, ‘‘ওরা (ম্যান ইউ) আমাদের থেকে অনেক ভাল খেলেছে। যোগ্য দলই জিতেছে।’’ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে রেড ডেভিলস সমর্থকেরা কিন্তু মোরিনহোকে অভিনন্দনই জানিয়েছেন। ওয়ে গুন্নার সোলসারের ক্লাবের ফুটবলারেরাও খেলার শেষে তাঁকে অভিবাদন জানান।
বুধবারের জয়ে ইপিএল টেবলে ছ’নম্বরে উঠে এল ম্যান ইউ। কে বলবে, কিছুদিন আগেও তারা প্রায় অবনমন অঞ্চলে চলে যাচ্ছিল। টেবলের দু’নম্বর দল কিন্তু লেস্টার সিটি। জেমি ভার্দি ও জেমস ম্যাডিসনের গোলে তারা ২-০ হারিয়েছে ওয়াটফোর্ডকে। ২০১৫-’১৬ মরসুমে এই ক্লাব ইপিএল জিতে চমকে দিয়েছিল। এ বার ব্রেন্ডান রজার্সের কোচিংয়ে অসাধারণ খেলছে। ১৫ ম্যাচে পয়েন্ট ৩৫। গত দু’বারের চ্যাম্পিয়ন দল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি তিন নম্বরে ১৫ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট পেয়ে। লেস্টারের মতোই ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের কোচিংয়ে দারুণ খেলছে চেলসি। তাও এক ঝাঁক নতুন ফুটবলার নিয়ে। টেবলে রয়েছে চারে। পয়েন্ট ২৯। বুধবার ‘দ্য ব্লুজ’ ২-১ হারাল অ্যাস্টন ভিলাকে। চেলসির প্রতিশ্রুতিমান দুই ফুটবলার ট্যামি আব্রাহাম ও ম্যাসন মাউন্ট গোল করলেন। ইপিএলে দুই থেকে পাঁচে সাপলুডোর লড়াই চললেও ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে লিভারপুল। বুধবার তারা পাঁচ গোল দিল এভার্টনকে। ফল ৫-২। গোল করলেন দিভোক ওহিগি (২), জার্দান শাকিরি, সাদিয়ো মানে ও জর্জিনিয়ো ওয়াইনালডাম। লিভারপুলের পয়েন্ট ১৫ ম্যাচে ৪৩। লেস্টারের থেকে ৮ পয়েন্ট এগিয়ে। ম্যান সিটি আবার পিছিয়ে গেল ১১ পয়েন্টে। ফুটবল বিশ্লেষকেরা বলছেন, লিভারপুলের প্রতীক্ষিত ইপিএল জয়টা সময়ের অপেক্ষা। গত বার য়ুর্গেন ক্লপের দল দ্বিতীয় হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন ম্যান সিটির থেকে মাত্র ১ পয়েন্ট পিছনে থেকে।
এভার্টনকে হারিয়ে নজিরও গড়লেন ক্লপ। তাঁর কোচিংয়ে সব চেয়ে কম সময়ে ১০০ ম্যাচ জিতল লিভারপুল। এখানেই শেষ নয়। টানা ৩২ ম্যাচ জিতল ‘দ্য রেডস’। মানে, সালাহদের জার্মান ম্যানেজারের অবশ্য এই ধরনের নজির নিয়ে আগ্রহ নেই। তাঁর এবং লিভারপুলের পাখির চোখ ইপিএল খেতাব। অ্যানফিল্ডে তিরিশ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে চান ক্লপ। এভার্টনকে হারিয়ে উঠে বললেনও সে কথা, ‘‘রেকর্ডের গুরুত্ব আছে। কিন্তু এখন একটা কথাই মাথায় রাখতে হচ্ছে। কোনও ম্যাচ হারলে বা ড্র করলে চলবে না।’’