চর্চায়: মার্কোসের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
আই লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নভঙ্গের আতঙ্কের মধ্যেই সুখবর লাল-হলুদ শিবিরে। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে রাজি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড! সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের ২৬ জুলাই পল পোগবা-মার্কাস র্যাশফোর্ডদের খেলতে দেখা যেতে পারে যুবভারতীতে।
সম্প্রতি ম্যান ইউয়ের তরফে ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ উপলক্ষে কলকাতায় ম্যাচ খেলার সম্মতি জানিয়ে চিঠি ও চুক্তিপত্রের খসড়া পাঠানো হয়েছে। এই ম্যাচের জন্য ম্যান ইউয়ের আর্থিক দাবি বিশাল হলেও উদ্বিগ্ন নন লাল-হলুদের কর্তারা। তবে চুক্তির অর্থ একবারে দিতে হবে না ইস্টবেঙ্গলকে। প্রথম কিস্তি দিতে হবে এপ্রিল মাসে। দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ দেওয়ার কথা জুনের শেষে।
ম্যান ইউয়ের সম্মতি নিয়ে উচ্ছ্বাসের মধ্যেই ইস্টবেঙ্গল কর্তারা মার্কোস খিমেনেস দে লা এসপারা মার্তিন ও মার্তি ক্রেসপির বিকল্প খুঁজতে শুরু করে দিয়েছেন। অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, ‘‘বছরের শুরুতেই বলেছিলাম, এই দলের ভবিষ্যৎ অবনমন ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। তাই বার বার বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। শক্তিশালী দল গড়ার অনুরোধও করেছিলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা ওদের বলেছি, কোচের সঙ্গে আলোচনায় বসব। অবিলম্বে দলের আমূল পরিবর্তন দরকার। কোচকে বলব, আক্রমণ ভাগ ও রক্ষণ শক্তিশালী করার জন্য নতুন ফুটবলার চাই।’’ কিন্তু দল বদলের সময়সীমা তো শেষ? লাল-হলুদ কর্তার আশ্বাস, ‘‘চুক্তিবদ্ধ নয় এ রকম বহু ফুটবলার রয়েছে বিশ্বে। তাদের মধ্য থেকেই বেছে নিতে হবে।’’ মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বের ডার্বি নিয়েও জটিলতা বাড়ছে। খরচ বাঁচাতে নাকি ভুবনেশ্বরে ম্যাচের আয়োজন করতে আগ্রহী ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, যুবভারতীতেই যাতে ডার্বি হয়, তার জন্য ক্লাব কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।