মরিয়া: এভার্টনের রক্ষণ ভেঙে গোল করার চেষ্টায় ল্যাকাজ়েত্তে। রয়টার্স
ভিআইপি বক্সে ছিলেন দু’জনই। কার্লো আনচেলোত্তি ও মিকেল আর্তেতা। তিন বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ক্লাবের কোচ আনচেলোত্তি সম্প্রতি বরখাস্ত হয়েছেন নাপোলি থেকে। ইটালির ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় তোলার পরেও।
খুব বেশি দিন আনচেলোত্তিকে অবশ্য বেকার থাকতে হল না। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব এভার্টন সাদরে তাঁকে ম্যানেজার করায়। তিনি কাজ শুরু করবেন রবিবার। তার আগে গুডিসন পার্কের গ্যালারিতে বসে দেখলেন নতুন ক্লাবের খেলা। এবং ক্যামেরায় বারবার ধরা পড়ল, চেলসির চাকরি যাওয়ার সাড়ে আট বছর পরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ফেরা বিখ্যাত কোচের হতাশ অভিব্যক্তি। কারণ এভার্টন এই ম্যাচ গোলশূন্য ড্র করল আর্সেনালের সঙ্গে।
গ্যালারিতে ছিলেন আর্তেতাও। এই স্পেনীয়র বয়স ৩৭। এক সময় চুটিয়ে ইপিএলে আ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেছেন আর্সেনালেই। ক্লাব ছাড়েন ২০১৬-তে। পরে বিখ্যাত পেপ গুয়ার্দিওলার সহকারীর কাজ করেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে। তিন বছর আগে ক্লাব ছাড়ার সময় সতীর্থদের বলে যান, চলে যাচ্ছেন নতুন কিছু শিখে ফিরে আসতে। এই ‘নতুন কিছু’ ফুটবল কোচের কাজ শেখা।
আর্তেতা জানিয়েছেন, আর্সেনালে কোচ হয়ে ফিরতে চেয়েছিলেন। তাঁর আশা পূর্ণ হয়েছে। উনাই এমেরিকে বরখাস্ত করে তাঁকেই স্থায়ী কোচ করেছে আর্সেনাল। তবে কাজ এখনও শুরু করেননি। তাঁকেও কোচের ভূমিকায় দেখা যাবে রবিবার থেকে। কোচ হিসেবে প্রথম ম্যাচ ২৬ ডিসেম্বর, বোর্নমুথের বিরুদ্ধে। কিন্তু আনচেলোত্তির মতোই শনিবারের ম্যাচ দেখতে এসে তাঁর প্রতিক্রিয়াতে স্পষ্ট হয়েছে হতাশা। আর্তেতা মনে করেন, তিনি ক্লাব ছাড়ার পরে আর্সেনালের প্রাণবন্ত ভাবটাই হারিয়ে গিয়েছে। কোচের দায়িত্ব নিয়ে তাঁর চ্যালেঞ্জ সেটাই এমিরেটস স্টেডিয়ামে ফিরিয়ে আনার। কিন্তু শনিবারের ম্যাচ দেখে আর্সেন ওয়েঙ্গারের উত্তরসূরিও নিশ্চয়ই বুঝছেন, কাজটা কত কঠিন।
শনিবার ইপিএলে নবাগত দুই কোচকে নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে থাকলেও সেই অর্থে বড় ম্যাচটা ছিল এতিহাদ স্টেডিয়ামে। যেখানে পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যাঞ্চেস্টার সিটি খেলল লেস্টার সিটির সঙ্গে। ঘরের মাঠে গ্যাব্রিয়েল জেসুসরা জিতলেন ৩-১। শুরুতে জেমি ভার্ডির গোলে পিছিয়ে গিয়েছিল লেস্টার। কিন্তু আট মিনিট পরেই সেই গোল শোধ করেন রিয়াদ মাহরেজ। ৪৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ২-১ করেন ইলখাই গুন্দোয়ান। ৬৯ মিনিটে ৩-১ করেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস।
এই ম্যাচ জিতেও ১৮ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে থাকল ম্যান সিটি। সমসংখ্যক ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে দু’নম্বরে থাকল লেস্টার।