উচ্ছ্বাস: কেভিন দ্য ব্রুইনকে নিয়ে সতীর্থদের উৎসব। শনিবার। রয়টার্স
ম্যান সিটি ৮ • ওয়াটফোর্ড ০
লেস্টার সিটি ২ • টটেনহ্যাম ১
আট গোলও খুশি করতে পারেনি তাদের। আরও গোলের জন্য এতিহাদে আওয়াজ উঠেছিল। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ১৯৯৫-এ ৯-০ হারিয়েছিল ইপসউইচকে। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির সমর্থকেরা চেয়েছিল সেই রেকর্ড যেন ভেঙে যায়। অতটা না হলেও, শনিবার ওয়াটফোর্ডের বিরুদ্ধে সিটির ৮-০ জয় পেপ গুয়ার্দিওলার জমানায় ইপিএলে তাদের সব চেয়ে বড় সাফল্য। গোল করার নিরিখে। ৫২ সেকেন্ডে প্রথম গোল। এ বার এটাও নজির। ১৮ মিনিটে ৫-০। সত্যিই অবিশ্বাস্য!
বেচারা বেন ফস্টার। ওয়াটফোর্ডের এই গোলরক্ষক বলে গেলেন, ‘‘ম্যাচটা আমার ফুটবল জীবনের সব চেয়ে বড় লজ্জা। ১৮ মিনিটে ৫-০ হওয়ার পরে লিভারপুল বা সিটির বিরুদ্ধে মনে হতে পারে যে, স্কোর হয়তো এ বার ক্রিকেটের মতো কিছু একটা হতে যাচ্ছে।’’ শনিবার হ্যাটট্রিক করেছেন বের্নার্দো সিলভা। ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে প্রথম। ‘‘৮-০ স্কোরই বলে দিচ্ছে আমরা কেমন খেলেছি। জীবনে প্রথম হ্যাটট্রিক করে আমি নিজেও খুশি। সব দলেই ভাল-খারাপ দিন আসে। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কোনও খারাপ দিনের পরে একটা ক্লাব কেমন খেলছে। আর একবার আমরা বুঝিয়েছি, শুধুই খেতাব জয়ে জন্য আমরা খেলি,’’ বলেন বের্নার্দো।
পর্তুগিজ তারকা হ্যাটট্রিক করলেও ম্যাচের সেরা কেভিন দ্য ব্রুইন। অসাধারণ খেলেছেন। বেশির ভাগ গোলেই বড় ভূমিকা বেলজিয়ান তারকার। ইপিএলেই তাঁর পাস থেকে ৫২টি গোল হয়ে গেল। যে নজির কারও নেই। শনিবার তিনি ম্যান সিটির শেষ গোলটাও করেন। বের্নার্দোর হ্যাটট্রিক বাদ দিলে একটি করে গোল ব্রুইন ছাড়া করেছেন দাভিদ সিলভা, সের্খিয়ো আগুয়েরো (পেনাল্টি), রিয়াদ মাহরেজ়, নিকোলাস ওটামেন্ডি। আগুয়েরো আবার ম্যান সিটির হয়ে ইপিএলে টানা সাত ম্যাচে গোল করলেন।
কে বলবে, লিগে হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে নামা ম্যাঞ্চেস্টার সিটির এ বার শুরুটা ভাল হয়নি। ছ’টি ম্যাচ খেলে একটিতে হেরেওছে। পয়েন্ট ১৩। টেবলে শীর্ষে লিভারপুল। পাঁচ ম্যাচ খেলে সব ক’টি জিতে। যদিও লিভারপুলের ম্যানেজার য়ুর্গেন ক্লপ মনে করেন, এই মুহূর্তে ইউরোপের সেরা ক্লাব ম্যান সিটিই। এবং লিগ খেতাব জেতার লক্ষ্যে পেপের দল এ বারও এগিয়ে। শনিবার এতিহাদে যেন সেটাই প্রমাণ হল। এ দিকে, শনিবার ইপিএলে অঘটন ঘটাল লেস্টার সিটি। টটেনহ্যামকে নিজেদের মাঠে ২-১ হারিয়ে। প্রথম গোল দিয়ে টটেনহ্যামকে এগিয়ে দেন হ্যারি কেন। লেস্টারের রিকার্ডো পেরিরা ৬৯ মিনিটে ১-১ করেন। জয়ের গোল ৮৫ মিনিটে করেন জেমস ম্যাডিসন।