সেই গোলের ছবি। ফিফার ভিডিও থেকে নেওয়া।
একটা গোলই। আর সে এমন গোল, যা দেখে হেসে ফেলল গোটা গ্যালারি!
লজ্জায়, হতাশায়, নিজের উপর রাগে মাঠের মধ্যেই মুখ ঢাকল মালির গোলকিপার ইউসুফ কোইতা।
ম্যাচ তখন গড়িয়েছে ৫৫ মিনিটে। ব্রাজিলের অ্যালান বক্সের বাইরে থেকে একটা দুর্বল শটই নিয়েছিল। অ্যালানকে শট নিতে দেখে গোলের মুখ ছোট করতে জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিল মালির গোলকিপার। অ্যালেনের সেই মন্থর শট দু’হাতে প্রায় ধরেও ফেলেছিল কোইতা। কিন্তু, হাত ফসকে সেই বল তার দু’পায়ের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে গিয়েই কী ভাবে যেন গতি পেল। সেই সময়ে গোলে ফেরার চেষ্টা করেও বলের আগে ফিরতে পারেনি মালির গোলকিপার। বল গড়িয়ে চলে গেল মালির গোলে। মুখ ঢেকে শুয়ে পড়ল কোইতা!
গড়ানো বল এ ভাবেই গোলে ঢুকে গেল হাতের তলা দিয়ে। ছবি ফিফার সৌজন্যে।
বিকেলবেলা স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে যে ছেলেটি মালির ব্যান্ড খুঁজছিল, সে নিশ্চয়ই খুব হতাশ হবে। ব্রাজিল, ইংল্যান্ড, স্পেনের পতাকা, ব্যান্ড, ফেট্টি সব থাকলেও শনিবার যুবভারতীর বাইরে মালির কিছুই পাওয়া যায়নি। ফেরিওয়ালারা ভাবেনইনি মালিরও ফ্যান রয়েছে কলকাতায়। তাই, বানানোও হয়নি কিছু। কিন্তু, মালিকে সমর্থন করতে যুবভারতীতে আসা সেই ছেলে বুঝিয়ে দিয়েছিল, প্রেমটা আসলে ভাল ফুটবলের।
দেখুন সেই গোলের ভিডিও। ফিফার সৌজন্যে।
পুরো টুর্নামেন্টে যে ভাবে দাপিয়ে ফুটবল খেলেছে মালি, তাতে মালির ফ্যান হয়ে পড়লে অস্বাভাবিকতার কিছু নেই। কিন্তু, গোলকিপারের এই একটা ভুল পুরো টুর্নামেন্টে মালির সাফল্যে একটা কালো দাগের মতো হয়ে থাকবে। হয়তো সারা রাত ঘুমাতে পারবে না মালির গোলকিপার ইউসুফ কোইতা। পুরো প্রথমার্ধটা ব্রাজিলকে দাঁড়াতে দেয়নি মালি। বার বার আক্রমণে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছে ব্রাজিল রক্ষণকে। দ্বিতীয়ার্ধেও নিজেদের আক্রমণ ধরে রেখেছে। আর তার মধ্যেই এই গোল হজম করাটা মালি শিবিরে একটা দুর্ঘটনার মতো!