তৃপ্ত: মালয়েশিয়া মাস্টার্স ব্যাডমিন্টনের স্মারক হাতে প্রণয়। ছবি: এপি/পিটিআই।
ছ’বছরের ট্রফি খরা মেটালেন এইচ এস প্রণয়। মালয়েশিয়া মাস্টার্স সুপার ৫০০ প্রতিযোগিতার ফাইনালে চিনের ওয়েং হং ইয়াংকে তিন গেমে হারালেন ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকা। ফল ২১-১৯, ১৩-২১, ২১-১৮।
৩০ বছর বয়সি প্রণয়ের জন্য এই জয় সহজে আসেনি। তাঁকে ৯৪ মিনিট লড়াই করতে হয় ফাইনালে বিশ্বের ৩৪ নম্বর চিনাখেলোয়াড়কে হারাতে। যিনি আবার এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জয়ীও। এই জয়ের ফলে খেলোয়াড় জীবনে প্রথম বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থার টুর খেতাব পেলেন প্রণয়। পাশাপাশি চলতি মরসুমে ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনিই প্রথম সিঙ্গলস খেতাব জিতলেন।
চলতি মরসুমে প্রথম ট্রফি জয়ের পরে প্রণয় কৃতিত্ব দিয়েছেন জাতীয় কোচ পুল্লেলা গোপীচন্দকে। তিনি বলেছেন, ‘‘এই ট্রফির সঙ্গে অনেক ধরনের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। শেষ ছ’বছরে কোনও প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। ২০১৭ সালেও যদি কেউ আমাকে ট্রফি জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করতেন, তাঁদের জবাব দেওয়ার মতো কিছুই থাকত না আমার কাছে। স্বপ্ন সত্যি হল।’’
সেখানেই না থেমে প্রণয় আরও বলেছেন, ‘‘গোপী স্যরকে বিশেষ ভাবে কৃতিত্ব দিতে চাই। তিনি প্রতিনিয়ত আমাকে উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন। উনি বলতেন, একদিন ট্রফির স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। আমার মধ্যে একটা বিশ্বাস তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি।’’ এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রমতালিকায় নয় নম্বরে থাকা প্রণয় যোগ করেছেন, ‘‘গত চার মাস গোপী স্যর এবং অন্য কোচদের তত্ত্বাবধানে নিবিড় অনুশীলনে মগ্ন ছিলাম। অবশেষে সেই পরিশ্রমের স্বীকৃতি মিলল।’’
বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থার টুর পর্যায় ছটি ভাগে বিভক্ত। যা বিশ্ব টুর ফাইনালস নামে পরিচিত। যার মধ্যে রয়েছে চারটি সুপার ১০০০, ছটি সুপার ৭৫০, সাতটি সুপার ৫০০ এবং ১১টি সুপার ৩০০ পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। এ ছাড়া বিডব্লিউএফ ১০০ পর্যায়ের প্রতিযোগিতাতেও মেলে র্যাঙ্কিং পয়েন্ট।
প্রণয় বলেছেন, ‘‘এই প্রতিযোগিতায় ভাল কিছু করা আমার একমাত্র লক্ষ্য ছিল। শেষ তিন দিন ঘুমোতেও পারিনি। আমার ফাইনালে ওঠার পথ সহজ ছিল না।’’