পাশাপাশি: রমেশ কৃষ্ণণ, জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, রমানাথন কৃষ্ণণ ও আনন্দ অমৃতরাজ। শনিবার সাউথ ক্লাবে শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে। পিটিআই
কোর্টে একটা সময় জুটি বেঁধে তাঁরা ঝড় তুলেছিলেন বিশ্ব টেনিস-মঞ্চে। তার পরে পারস্পরিক দূরত্ব তৈরি হলেও লিয়েন্ডার পেজ সম্পর্কে দুর্বলতা রয়েই গিয়েছে একদা ডাবলস-সঙ্গী মহেশ ভূপতির। যিনি বলে দিলেন, এখনও যে ফর্মে টেনিস খেলছেন তাঁর বন্ধু, তাতে আরও একটা বছর টেনিস চালিয়েই যেতে পারেন লিয়েন্ডার।
সাউথ ক্লাবের শতবর্ষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার কলকাতায় এসেছিলেন ভারতীয় ডেভিস কাপ দলের প্রাক্তন কোচ মহেশ। সেখানেই প্রশ্ন ওঠে, লিয়েন্ডারের অবসরের প্রসঙ্গ। মহেশ বলেছেন, ‘‘এখনও তো দারুণ খেলছে লিয়েন্ডার। বেঙ্গালুরু ওপেন টেনিসের ফাইনালে উঠেছে। আমি তো মনে করি, এই ছন্দেই যদি ও আরও কয়েক মাস খেলতে পারে, তা হলে অনায়াসে আরও একটা বছর টেনিস খেলে দিতে পারে।’’ যদিও এ দিন বেঙ্গালুরু ওপেন টেনিসের ফাইনালে লিয়েন্ডার হেরে গিয়েছেন। লি-ম্যাথু এবডেন জুটিকে ৬-০, ৬-৩ হারিয়েছে পূরব রাজা এবং রামকুমার রমানাথন জুটি।
প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি টোকিয়ো অলিম্পিক্সের দলেও লিয়েন্ডারের জায়গা পাওয়া উচিত? মহেশের জবাব, ‘‘চার-পাঁচজন খেলোয়াড় এই মুহূর্তে রয়েছে আলোচনায়। আমাদের তাই আরও খানিকটা সময় অপেক্ষা করতেই হবে। জুন মাস শেষ হওয়ার আগে কিছু বলা সম্ভব নয়।’’
সাউথ ক্লাবের সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে মহেশের। ১৯৯৫ সালে এখানেই তাঁর অভিষেক হয়েছিল। তখন অক্রীড়ক অধিনায়ক ছিলেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, ‘‘এই টেনিস প্রতিষ্ঠানের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য রয়েছে। আমি তো মনে করি, দেশের মধ্যে সেরা টেনিস ক্লাব এটাই। এখানে ফিরতে পেরে আনন্দিত।’’