দশ বছর ধরে হরিয়ানা সরকারের কাছে কাকুতি-মিনতি করেও গীতা ও ববিতা ফোগতের বাবা বলালির আখড়ায় অলিম্পিক্স ম্যাট লাগাতে ব্যর্থ।
এত দিন মহাবীর ফোগতের সেই আবেদনে সাড়া না দিলেও দেশ জুড়ে আমির খানের সিনেমা ‘দঙ্গল’ সুপারহিট হতেই নড়েচড়ে বসেছে হরিয়ানা সরকার। নববর্ষের প্রথম দিনই সেই বহুকাঙ্খিত ম্যাট হরিয়ানা মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের প্রতিনিধি গীতা-ববিতাদের আখড়ায় নিয়ে গিয়ে লাগিয়ে দেন। তার পর মহাবীর ফোগত ও তার দুই তারকা কুস্তিগীর মেয়ে গীতা ও ববিতাকে নিয়ে নতুন ম্যাটের পাশে দাঁড়িয়ে গাদাগাদা সেলফি তোলেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি।
যে ঘটনায় বোধহয় ফের বোঝা গেল, এটাই হল ভারতের গ্রামগুলোয় ক্রীড়া পরিকাঠামোর আসল চেহারা। অলিম্পিক্স বা এশিয়ান গেমসে পদক জিতলে তবেই ছোট খেলার সফল ক্রীড়াবিদকে নিয়ে মন্ত্রী-আমলাদের দাপাদাপি শুরু হয়।
ফোগতদের আখড়ায় এত দিনে অলিম্পিক্স ম্যাট বসানোর খবর আনন্দবাজারকে মোবাইলে দেন ভিবানি অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ধীরেন্দ্র খড়গাতা। বলেন, ‘‘আমরা দ্রোণাচার্য মহাবীর সিংহকে সম্মান জানাতে এই অত্যাধুনিক ম্যাট ওঁর আখড়ায় লাগিয়ে নিজেরাই ধন্য হলাম। একইসঙ্গে ওঁর দুই বিখ্যাত মেয়ের গীতা ও ববিতা ফোগতের সাফল্যের পুরস্কার হিসেবেও ওই ম্যাট তাঁদেরও উপহার দিলাম। আশা করি এর ফলে বলালি আর তার আশপাশের গ্রামের আখড়ার পালোয়ানরা এই আন্তর্জাতিক ম্যাট ব্যবহার করে দেশকে আরও পদক এনে দেবেন।’’ শুধু তাই নয়। বলালি ও তার আশেপাশের গ্রামের ব্যায়ামাগারে এয়াক কন্ডিশন়ড্ মেশিন বসাতেও এখন উৎসাহী হরিয়ানা সরকার।
সব দেখেশুনে মহাবীর বলছেন ‘‘অনেক দেরিতে হলেও শেষমেশ ব্যাপারটা হল। এটাই বড় কথা। এতে আখেরে দেশেরই লাভ হবে।’’