পদক জিতলেন অমিত কুমার। ছবি টুইটার
নিজেরা বাঁচলেও ট্রেনে আচমকা লেগে যাওয়া আগুনে পুড়ে গিয়েছিল খেলার সমস্ত সরঞ্জাম। মনোবল ঠেকেছিল তলানিতে। তা সত্ত্বেও জাতীয় তীরন্দাজি প্রতিযোগিতায় তিনটি পদক জিতে চমকে দিল মধ্যপ্রদেশের খুদে তীরন্দাজরা। অমিত কুমার এবং সোনিয়া ঠাকুরের কীর্তির প্রশংসা করেছেন প্রত্যেকেই।
শনিবার আগুন লেগে গিয়েছিল নয়াদিল্লি-দেহরাদূন শতাব্দী এক্সপ্রেসের সি-৪ কামরায়। পাশের সি-৫ কামরাটিও ভস্মীভূত হয়ে যায়। ওই কামরাতেই ছিল মধ্যপ্রদেশের তীরন্দাজরা। কোনও মতে তারা ট্রেন থেকে বেরিয়ে এলেও বাঁচানো যায়নি তাদের ধনুক, তীর-সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া কার্যত শেষ হতে বসেছিল।
এমন সময় আসরে নামেন মধ্যপ্রদেশের ক্রীড়ামন্ত্রী যশোধরা রাজে সিন্ধিয়া। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ওই তীরন্দাজদের সরঞ্জাম জোগাড় করা হয়। মনোবল তলানিতে থাকলেও হাল ছাড়েনি তীরন্দাজরা। আস্থার দাম রেখেছে তারা।
রবিবার সিন্ধিয়া টুইট করেন, “কালকে শতাব্দীর দুর্ঘটনায় সমস্ত সরঞ্জাম হারানো সত্ত্বেও আমাদের তীরন্দাজরা বীরের মতো খেলেছে। জাতীয় জুনিয়র তীরন্দাজি প্রতিযোগিতায় অমিত কুমার এবং সোনিয়া ঠাকুর পদক এনে আমাদের গর্বিত করেছে।” ১৭ বছরের অমিত বলেছে, “আমরা কেউ ঘুমোতে পারিনি। মধ্যপ্রদেশের তীরন্দাজরা যে কঠিন পরিস্থিতিতেও লড়তে পারে, এটা প্রমাণ করার ছিল আমাদের।”