সুয়ারেস-নেমার
বার্সেলোনায় এলে নেমার সব সময়ই স্বাগত, বলে দিলেন তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ লুইস সুয়ারেস। স্পেনের একটি সংবাদপত্রকে সুয়ারেস বলেছেন, ‘‘সকলে নে-কে (ব্রাজিলীয় তারকাকে ভালবেসে এ নামেই ডাকেন অনেকে) চেনে। ড্রেসিংরুমে ওর জন্য কতটা ভালবাসা, স্নেহ রয়েছে আমরা সকলে তা জানি।’’
বিশ্বরেকর্ড ট্রান্সফার অর্থে ২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে প্যারিস সাঁ জারমাঁ-তে চলে যান নেমার। তখন এমন খবরও ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি যে, বার্সেলোনার কর্তাদের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না তাঁর। শোনা যায়, নেমার চলে যাওয়ায় প্রসন্ন ছিলেন না স্বয়ং লিয়োনেল মেসিও। তার পর থেকে বার্সেলোনার খেলাতেও এর প্রভাব দেখা দিতে থাকে। সুয়ারেসের এমন মন্তব্য নিঃসন্দেহে নেমারকে ফিরিয়ে আনার দাবিকে জোরালো করবে। উরুগুয়ের স্ট্রাইকার বলেছেন, ‘‘ওর দক্ষতা নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। এখনও অনেক কিছু দিতে পারে। ড্রেসিংরুমে আমরা সব সময় ওকে স্বাগত জানাব। আমরা ওর দক্ষতাকে খুবই সম্মান করি।’’
প্যারিসে গিয়ে খুব একটা স্বস্তিতে নেই নেমারও। তিনি বার্সেলোনায় ফিরতে পারেন বলে অনেক দিন ধরেই জল্পনা চলছে। সুয়ারেসকে সেই সম্ভাবনা নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তাঁর জবাব, ‘‘নেমার অসাধারণ ফুটবলার। আমি এটুকু বলতে পারি, খুবই বড় মাপের ফুটবলার।’’ স্পষ্ট বুঝিয়েই দেন যে, তাঁরা খুব খুশিই হবেন ব্রাজিলীয় তারকাকে ফিরতে দেখলে। মেসি, সুয়ারেস, নেমারের ত্রিফলাকে বিশ্বের সেরা ফরোয়ার্ড যুগলবন্দি বলা হচ্ছিল। ‘এমএসএন’ নামে তাঁরা বিখ্যাত হয়েছিলেন।
ইন্টার মিলানের লাউতারো মার্তিনেসেরও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন সুয়ারেস। আর্জেন্টিনার ২২ বছর বয়সি বার্সেলোনায় আসতে পারেন বলে ইঙ্গিত রয়েছে। সুয়ারেস বলেন, ‘‘মার্তিনেস ইটালিতে দারুণ খেলছে। সেন্টার ফরোয়ার্ডে খেলে এবং নানা ধরনের রণনীতিতে মানিয়ে নিতে পারে। দারুণ মুভ রয়েছে।’’ নতুনদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে জানতে চাইলে সুয়ারেস বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে সব সময় স্বাস্থ্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে। কিন্তু সকলের লক্ষ্য একটাই থাকে। বার্সেলোনার হয়ে ম্যাচ জেতা।’’
করোনাভাইরাসের প্রকোপে বার্সেলোনার ফুটবলারদের বেতন কাটছাঁট করতে হচ্ছে। তা নিয়ে মেসির সঙ্গে ক্লাব কর্তাদের সংঘাত হয়েছে। সুয়ারেসও দাঁড়িয়েছেন মেসির পাশে। ‘‘কতগুলি কথা বলা হচ্ছিল, যা ঠিক নয়। যেমন ফুটবলারেরা বেতন কমাতে চায়নি, ওরা এর বিরুদ্ধে ছিল, এ সব। এটা যে ক্লাব ম্যানেজমেন্ট বলছিল, তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। অবশ্যই কোনও খেলোয়াড়ই এতে প্রসন্ন হয়নি।’’ সুয়ারেসের বক্তব্য, করোনা নিয়ে এই পরিস্থিতিতে সব ফুটবলার ঐক্যবদ্ধ ভাবে ক্লাবকে সাহায্য করতেই চেয়েছিল। তাঁদের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হচ্ছিল কারণ, ২২-২৩ জনের বেতন সংশোধিত করা সহজ কাজ ছিল না।