অস্ত্র: কোপা জিততে উরুগুয়ের ভরসা সেই সুয়ারেস। এএফপি
ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে কোপা আমেরিকায় সোমবার অভিযান শুরু করছে উরুগুয়ে। আট বছর বাদে অষ্টম বার লাতিন আমেরিকার সেরা হওয়ার জন্য লুইস সুয়ারেসকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখছেন উরুগুয়ের মানুষ। অথচ বার্সেলোনা তারকা এখনও ভুলতে পারছেন না চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুলের বিরুদ্ধে হারের যন্ত্রণা। জানালেন, হতাশায় পৃথিবী থেকে সরে যেতে চেয়েছিলেন!
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুয়ারেস বলেছেন, ‘‘লিভারপুলের কাছে হেরে বার্সেলোনায় ফেরাটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন দিন। ঠিক যেন ২০১৪ বিশ্বকাপের সেই যন্ত্রণা ফিরে এসেছিল। মনে হচ্ছিল পৃথিবী থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলি।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘ পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল, সন্তানদের স্কুলে নিয়ে যেতেও সমস্যা হচ্ছিল। সবাই খুব খারাপ দৃষ্টিতে দেখছিল।’’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যন্ত্রণা ভুলতেই কোপা আমেরিকা জিততে মরিয়া সুয়ারেস। খেতাবি দৌড়ে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার পরে উরুগুয়েকেই রেখেছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞেরা। কিন্তু প্রথম ম্যাচের আগে কোচ অস্কার তাবারেসের প্রধান চিন্তা ছিল সুয়ারেসকে নিয়েই। বার্সেলোনা তারকা হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পরে মাঠে ফিরলেও কোপায় খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে উরুগুয়ে আট নম্বরে। ৬০-এ ইকুয়েডর। তা সত্ত্বেও সুয়ারেসের চোটের জন্যই অস্বস্তিতে ছিলেন তাবারেস। শনিবার অবশ্য তাঁর উদ্বেগ দূর করে দিলেন বার্সেলোনা তারকাই। অনুশীলনের পরে সুয়ারেস জানিয়েছেন, ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে তিনি খেলবেন। তবে কতক্ষণ মাঠে থাকবেন তা জানেন না।
এ বারের কোপা আমেরিকা শুধু সুয়ারেস নয়— দিয়েগো গদিন, ফের্নান্দো মুসলেরা ও এদিনসন কাভানির কাছেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার শেষ সুযোগ। কারণ, অধিনায়ক গদিনের বয়স ৩৩। মুসলেরা, কাভানি ও সুরায়েসের বয়স ৩২। উরুগুয়ের চারমূর্তির স্বপ্নপূরণ হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।