রবিবার ওপেনার, কিপার ও ক্যাপ্টেন, তিন ভূমিকাতেই সফল লোকেশ রাহুল। ছবি: এএফপি।
যে চ্যালেঞ্জই ছুড়ে দেওয়া হোক না কেন, তা নিতে তিনি ভালবাসেন। জানিয়ে দিলেন স্বয়ং লোকেশ রাহুল।
শিখর ধওয়ন চোট পাওয়ায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওপেন করেছেন তিনি। আবার এই মুহূর্তে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দলের এক নম্বর উইকেটকিপার হিসেবেও দেখা হচ্ছে তাঁকে। রবিবার, রোহিত শর্মা চোট পেয়ে ফিল্ডিং করতে না নামায় দলকে নেতৃত্বও দিলেন রাহুল। এই সিরিজের সেরা হয়েছেন তিনি। পাঁচ ইনিংসে ৫৬ গড়ে করেছেন ২২৪ রান। শুধু দলেরই নয়, সিরিজেরও সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী তিনি। আর কোনও ব্যাটসম্যান দু’শোর গণ্ডি পার করতেই পারেননি।
রাহুলকে অবশ্য রোমাঞ্চিত লাগছে জীবনে প্রথম বার জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিতে পেরে। তিনি বলেছেন, “এটা একেবারেই বিশেষ অনুভূতি। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার স্বপ্ন বরাবরই দেখতাম। তবে বেশি দেখতাম দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন। রোহিতের দুর্ভাগ্য, ও চোট পেয়ে গেল।” তিনি আরও বলেছেন, “প্রত্যেক দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখছি, নতুন কোনও না কোনও দায়িত্ব পড়ছে। আমি এর জন্য কৃতজ্ঞ। আমাকে দেওয়া চ্যালেঞ্জগুলো উপভোগ করছি। রোহিত ও বিরাট কোহালি, দুই নেতার অনুপস্থিতিতে যে ভাবে জিতলাম, তা দুর্দান্ত।”
আরও পড়ুন: বোকার মতো খেলেছে নিউজিল্যান্ড, তীব্র আক্রমণে শোয়েব আখতার
আরও পড়ুন: বুমরা-সাইনি ম্যাজিকে ৫-০, নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করল ভারত
পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে জেতার জন্য বোলারদের কৃতিত্ব দিয়েছেন রাহুল। বলেছেন, “উইকেটের পিছন থেকে আমার পক্ষে খুব বেশি কিছু করা সম্ভব ছিল না। বোলাররা নিজেদের পরিকল্পনা মতো বল করেছে। নিজেদের ফিল্ডিং সাজিয়েছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রান উঠবেই। কিন্তু বোলাররা যে ভাবে নিজেদের নার্ভ ধরে রেখেছে, তা অবিশ্বাস্য।”
তিন ভূমিকায় সাফল্যের রহস্য কী? রাহুল বলেছেন, “কোচ, সাপোর্ট স্টাফ, অধিনায়ক আমার উপর ভরসা রেখেছেন। যে পরিস্থিতিই আসুক না কেন, তাতে আমার উপর আস্থা রেখেছেন সকলে। এটাই ক্রিকেটার হিসেবে আমাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। এমন ভরসা পেলে এটা অনুপ্রাণিত করে। মানসিক ভাবে উদ্দীপ্ত থাকা যায় দলের হয়ে নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার জন্য।”
দলের মধ্যে থেকেই প্রেরণা খুঁজে পান তিনি। রাহুলের কথায়, “আমাদের ড্রেসিং রুমেই বিরাট-রোহিতের মতো বড় ক্রিকেটাররা রয়েছেন। তাই অনুপ্রাণিত থাকার জন্য বাইরে তাকানোর দরকার পড়ে না। ওরা যে ভাবে খেলে, তা লক্ষ্য করি। আবার, জশপ্রীতও প্রেরণা হয়ে উঠেছে। এরা নিয়মিত পারফর্ম করে চলেছে। আমরা একে অন্যের সঙ্গ উপভোগ করি। ড্রেসিংরুমে সিনিয়র-জুনিয়র বলে কেউ নেই। আমাদের কমন লক্ষ্য একটাই, তা হল জিততে থাকা।”