দাদুর ডন হার্নানের সঙ্গে ফুটবল আড্ডায় লিয়োনেল মেসি।
দীর্ঘ ফুটবল কেরিয়ারে অনেক সমর্থকের সংস্পর্শে তিনি এসেছেন। ওঁর ছোঁয়া পেতে ফুটবলপ্রেমীরা পাগল। তবে ‘নাতি’ লিয়োনেল মেসি কিন্তু ১০০ বছরের এক দাদুর প্রেমে মজে আছেন। দাদুও ‘এলএম টেন’ বলতে একেবারে অজ্ঞান। তাই তো বন্ধুদের থেকে এই স্প্যানিশ দাদুর কথা শোনার পরেই তাঁর সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বললেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
এই স্প্যানিশ দাদুর নাম ডন হার্নান। মেসির কেরিয়ারের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত সব ম্যাচ দেখেছেন তিনি। মেসি কোন ম্যাচে কত গোল করেছেন, হলুদ থেকে লাল কার্ড দেখা, চোটের জন্য কতগুলি ম্যাচ খেলতে পারেননি, দেশ ও বার্সেলোনার হয়ে মেসির সাফল্য, সবকিছু একটা দিস্তা খাতায় লিখে রেখেছেন সেঞ্চুরি করা দাদু। মেসি মাঠে নামলেই দাদু সব কাজ ছেড়ে টেলিভিশনের সামনে বসে পড়েন। সেই দিস্তা খাতার ৭৩০টি পাতা জুড়ে শুধুই মেসির নজিরের ছড়াছড়ি। সঙ্গে থাকে বিভিন্ন রঙের পেন্সিল ও কফি মগ। পানীয় শেষ হলেই দাদুর সেই মগ ফের ভর্তি করে দেওয়া চাই। না হলেই নাকি এই মেসি ভক্ত মেজাজ হারিয়ে ফেলেন।
প্রথম বার কোপা আমেরিকা জেতার পর এল এম টেন। ফাইল চিত্র।
স্প্যানিশ দাদুর এমন কীর্তি শোনার পর তো ‘নাতি’ মেসিও অবাক। তাই ডন হার্নানের কাছে ধরা দিলেন নিজেই। স্প্যানিশ ভাষায় বেশ কিছুক্ষণ চললো ওঁদের কথোপকথন। মেসি বলছেন, ‘হ্যালো হার্নান। আমার প্রতি আপনার ফুটবল প্রেম বন্ধুদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আপনি আমার সব সাফল্য-ব্যর্থতা একটি দিস্তা খাতায় লিখে রেখেছেন! ভাবলেই দারুণ লাগছে। আপনার প্রতি অনেক অনেক ভালবাসা। আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি। এ ভাবেই ফুটবলকে ভালবেসে যান। আপনার সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে।’
নাতি বলে কথা। তাও আবার সেই নাতি যদি মেসি হন তাহলে তো সোনায় সোহাগা। তাই দাদুও যেন কয়েক মিনিটের কথোপকথনে যেন নতুন জীবন ফিরে পেলেন। কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টিনার অধিনায়ককে বলেন, ‘সেই ১৯৯৩ সালের পর আর্জেন্টিনা আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতল। আমার প্রিয় ফুটবলার সবাইকে জবাব দিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য পেল। তবে বিশ্বকাপটাও চাই। সেটা মনে রেখো।’ নাতি মেসিও ওঁর দাদুকে বিশ্বকাপ জেতার প্রতিশ্রুতি দিলেন।
দাদু ও নাতির সম্পর্ক দুনিয়ার সব দেশে একই রকম। নাতি মেসি ও তাঁর ফুটবলপ্রেমী দাদুর মধ্যে আবেগ মাখানো এই সম্পর্ক সেটা ফের বুঝিয়ে দিল।