ধরাছোঁয়ার বাইরে লিওনেল মেসি। নাপোলির বিরুদ্ধে গোলের পর মহানায়ক। ছবি— এএফপি।
একমাত্র লিওনেল মেসির পক্ষেই হয়তো এ ভাবে গোল করা সম্ভব। শনিবার রাতে ন্যু ক্যাম্পে মেসির অবিশ্বাস্য গোল দেখার পরে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুধু মেসি আর মেসি।
মেসি-ম্যাজিকে বার্সেলোনা ৩-১ গোলে নাপোলিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল। বার্সা-নাপোলি ম্যাচে গোল হয়েছে চারটি। মেসির একটি গোল বাতিল হয়েছে। ক্ষুব্ধ মেসি রেফারির সঙ্গেও হাত মেলাতে চাননি। কিন্তু ২৩ মিনিটে যে গোলটা তিনি করলেন, সেটিই সব আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে।
ডান দিকের উইং ধরে দৌড়ন মেসি। সবাই নাম দিয়েছেন মেসি-জোন। নাপোলির বিরুদ্ধে নজরকাড়া গোলের দৌড়টাও শুরু সেই ডান দিক থেকেই।
সতীর্থ লুইস সুয়ারেজের কাছ থেকে বল ধরে মেসি যখন দৌড়তে শুরু করেন, তখন তাঁর সামনে তিন জন নাপোলির ফুটবলার। বল পায়ে পড়লে সবুজ ঘাসে আলপনা আঁকেন মেসি। তাঁর শরীরের দোলায় সম্মোহীত নাপোলির তিন ডিফেন্ডার। অবিশ্বাস্য গোল করার আগে অবশ্য দু’ বার পড়ে গিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু একবারের জন্যও বলের নিয়ন্ত্রণ হারাননি। নাপোলির ডিফেন্ডাররাও তাঁর পা থেকে বল কেড়ে নিতে পারেননি। বক্সের ভিতরে বিপজ্জনক মেসি।
আরও পড়ুন: মহমেডানকে আই লিগে তোলার চ্যালেঞ্জ, ইস্টবেঙ্গলকে মোহনবাগান না হওয়ার পরামর্শ প্লাজার
আর্জেন্টাইন মহাতারকা যাতে গোলে শট করতে না পারেন, তার জন্য নাপোলির ডিফেন্ডার কস্তাস গোলমুখ ছোট করে দিয়েছিলেন। শট নেওয়ার জায়গা দেওয়া হচ্ছিল না মেসিকে। কিন্তু মেসি তো অন্য গ্রহের ফুটবলার। যে সামান্য জায়গা পেয়েছিলেন, সেই জায়গা দিয়েই বাঁক খাওয়ানো শটে নাপোলির জাল কাঁপান মহানায়ক। ইতালির ক্লাবটির গোলকিপার ওসপিনা শরীর ছুড়েও সেই বলের নাগাল পাননি। ওই একটা গোল সবার নজর কেড়ে নিল। ক্লেমেন্ত, সুয়ারেজ বা নাপোলির ইনসিনিয়ের গোল নিয়ে চর্চা আর হল না।