মেসি। ছবি রয়টার্স।
বার্সেলোনায় পা দিয়েই বুধবার লিয়োনেল মেসির বাবা এবং এজেন্ট হর্ঘে জানিয়েছিলেন, তাঁর ছেলের পক্ষে স্পেনের ক্লাবে থাকা কঠিন। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই নাটকীয় ভাবে বদলে গেল পরিস্থিতি। স্পেনের সংবাদ মাধ্যমের দাবি, বার্সাতেই মেসির থেকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
বুরোফ্যাক্স (আইনসিদ্ধ নোটিস) পাঠিয়ে বার্সার সঙ্গে মেসি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেও ক্লাব কর্তারা তাঁকে ‘ফ্রি প্লেয়ার’ হিসেবে ছাড়তে রাজি নন। ২০২১ পর্যন্ত যে-হেতু চুক্তি রয়েছে, তাই ৭০০ মিলিয়ন ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬১৪৪ কোটি) না দিলে ছাড়া হবে না ছ’বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকাকে। কারণ, শর্ত অনুযায়ী মেসি ১০ জুনের মধ্যে ক্লাব ছাড়ার কথা জানাননি। আর্জেন্টিনা অধিনায়কের পাল্টা যুক্তি, করোনা অতিমারির জেরে ফুটবল দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল। ফলে মরসুম শেষ হয়েছে অনেক পরে। তাই জুন নয়, অগস্টকেই মরসুম শেষের সময় ধরতে হবে। এই কারণেই ‘ফ্রি প্লেয়ার’ হিসেবে তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে।
মেসির দাবি খারিজ করে দেন বার্সা কর্তারা। লা লিগাও তাঁদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বিবৃতি দেয়, ‘ফ্রি প্লেয়ার’ নয়, ৭০০ মিলিয়ন ইউরো দিয়েই ক্লাব ছাড়তে হবে মেসিকে।
সমস্যা মেটাতে বুধবার ব্যক্তিগত বিমানে রোসারিয়ো থেকে বার্সেলোনা পৌঁছন আর্জেন্টিনা অধিনায়কের বাবা। দুপুরে প্রায় ৯০ মিনিট বৈঠক করেন বার্সা প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের সঙ্গে। স্পেনীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী মেসিকে আরও দু’বছরের চুক্তিতে সই করার প্রস্তাব দেন বার্তোমেউ। কিন্তু রাজি হননি হর্ঘে। এই সপ্তাহে ফের দু’জনের আলোচনায় বসার কথা।
বুধবারের বৈঠকের পরে সাংবাদিকেরা হর্ঘেকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘মেসি কি আরও এক মরসুম বার্সায় খেলে ফ্রি প্লেয়ার হিসেবে অন্য ক্লাবে যেতে পারেন?’’ আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তির বাবার সংক্ষিপ্ত উত্তর ছিল, ‘‘হ্যাঁ।’’